নিষেধাজ্ঞা শেষে মুন্সীগঞ্জ-শরীয়তপুরে পদ্মা নদীতে জাল ফেলেও আশানুরূপ ইলিশ মিলছে না। তার পরিবর্তে জেলের জালে উঠে আসছে পাঙ্গাস। দাম ভালো পাওয়ায় ইলিশ না পাওয়ার আক্ষেপ কমছে। খুশি জেলেরা।
গত শুক্র ও শনিবার মুন্সীগঞ্জের মাওয়া, হাসাইল ও দিঘিরপাড় মৎস্য আড়তে চার কেজি থেকে শুরু করে প্রায় ১৫ কেজি ওজনের পাঙ্গাস বিক্রি করেছেন জেলেরা। আটশ’ থেকে এক হাজার দরে পাইকারদের কাছে পাঙ্গাস বিক্রি করছেন আড়তদাররা।
হাসাইল এলাকার জেলে হাসান ছৈয়াল বলেন, ‘ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর বহু আশা নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে যাই। কিন্তু জালে তেমন একটা ইলিশ আসছে না। তার পরিবর্তে ধরা পড়ছে বড় বড় পাঙ্গাস। আড়তগুলোতে পাঙ্গাসের ভালো দাম পাওয়ায় আমরা খুশি।’
হাসাইল মৎস্য আড়তের আড়তদার বাবু হাওলাদার বলেন, ‘প্রতি বছরের এই সময়ে নদীতে জেলেরা বড় বড় পাঙ্গাস পেয়ে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। গত বছর হাসাইল আড়তের এক জেলে এক খ্যাপে সর্বোচ্চ ৮০ পিস পাঙ্গাস পেয়েছিলো। তবে চলতি মৌসুমে পদ্মায় পাংগাস মাছ বেশি হারে ধরা পড়ছে। এ পর্যন্ত এক খ্যাপে ২৫০ পিস পাঙ্গাস পাওয়ার কথা শুনেছি।’
টঙ্গীবাড়ী থেকে পাঙ্গাস কিনতে আসা গনেশ নামের এক ব্যক্তি বললেন, ৯৫০ টাকা দরে ১১ কেজি ওজনের একটি পাঙ্গাস কিনলাম। নদীর পাঙ্গাসের স্বাদই আলাদা। তাই ভোরে আড়তে এসেছি পাঙ্গাস কিনতে। পছন্দমতো কিনে নিলাম।’