হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ তথা হাবের নির্বাচিত কমিটি বাতিল হওয়ায় আগামী বছরের হজ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা রয়েছে বলে দাবি করেছেন এজেন্সি মালিকরা।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে হাবের বাতিল হওয়া কমিটির নেতারা এ আশঙ্কার কথা জানান।
অনুষ্ঠানে সাধারণ হজ এজেন্সির মালিকদের ব্যানারে তারা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় আগামী হজের প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে হাবের বাতিল হওয়া কমিটির সাবেক মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুসারীরা প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যমান। গুটিকয়েক হজ এজেন্সির মালিক ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুসারী ছিলেন। হাবের মতো একটি স্পর্শকাতর জায়গা, যেখানে ৯৫ শতাংশ হজযাত্রী বেসরকারি এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে হজ পালন করে থাকেন, হাব এই বিশালসংখ্যক হজযাত্রী সমন্বয় করে থাকে, সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হাবে প্রশাসক বসানোর মতো একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে সদস্যরা মনে করেন।’
ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা মনে করি, হাবের কমিটির অবর্তমানে, হাব ও হজ এজেন্সির মধ্যে সমন্বয়হীনতা দেখা দেবে। হাবের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবে যে সেবাগুলো হজযাত্রীদের দেয়া হয়, সেখানে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে।’
গত ১৫ অক্টোবর হাবের কমিটি বাতিল করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সেখানে যুগ্মসচিব মোহাম্মদ দাউদুল ইসলামকে হাবের প্রশাসক নিয়োগ করা হয়।
হাবের সাবেক মহাসচিব বলেন, ‘প্রকৃত অর্থে এ বছর হজের খরচ কমেনি। গত বছরের তুলনায় এবার হজের খরচ বেড়েছে। হজে খরচ মূলত কমানো সম্ভব দুটি জায়গায়–একটি বিমানভাড়া, আরেকটি সৌদি অংশের খরচ।
‘দুটি জায়গার মধ্যে এবার বিমান ভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমেছে, কিন্তু টাকার বিপরীতে রিয়ালের বিনিময় মূল্যের তারতম্যের কারণে এবার প্রত্যেক হজযাত্রীর খরচ বেড়েছে ৪০ হাজার টাকা। এভাবে ধরলে গত বছরের তুলনায় এবার হজের খরচ ১৩ হাজার টাকা বেড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে যেসব হজযাত্রী হজে যান, তাদের বয়স বেশি থাকে। এবার প্যাকেজ অনুযায়ী হারাম শরিফ থেকে তিন কিলোমিটার দূরে বাড়ি হওয়ায় তাদের ভোগান্তি হবে। মিসফালাহ ব্রিজের কাছে তাদের নামিয়ে দেয়া হবে। তাদের এখান থেকে হারাম শরিফ গিয়ে নামাজ পড়ে বাসে উঠে আবার গন্তব্যে যেতে হবে। এটা অনেক কঠিন বিষয়। আমি মনে করি এটি সাধারণ হজযাত্রীদের জন্য কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’
ওই সময় হাবের সাবেক কমিটির সভাপতি ফারুক আহমেদ সরদারসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।