বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিপদ শেষ হয়ে যায়নি। নতুন করে বিপদ আসার আশঙ্কা আছে। গণতন্ত্রকে আঘাত ও নষ্ট করার চক্রান্ত চলছে। বাংলাদেশকে আবারও নতুন বিপদে ঠেলে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।
‘ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে মহিলা দলের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির বিরুদ্ধে সবসময় ষড়যন্ত্র হয় মন্তব্য করে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আবারও গণতন্ত্রকে দুর্বল ও ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনারা সবাই সজাগ ও সতর্ক থাকবেন। সংগঠনকে আরও দৃঢ় করেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘শেখ হাসিনা তার ১৬ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে মহিলা দলসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নির্মমভাবে দমন-পীড়ন চালিয়েছে।
‘অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকে শেখ হাসিনা ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা বলতেন। তার কারণে শিক্ষার্থীসহ বহু মানুষ নিহত হয়। সেই ভয়ংকর দানবকে সরিয়ে ৫ আগস্ট আমরা মুক্ত হয়েছি। এটা সত্য যে, শেখ হাসিনা গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।’
ফখরুল বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটলেও জাতি এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এই চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে আমাদের খুব সাবধানে এগুতে হবে।’
প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়ন করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের সমর্থনে জনগণের সেবা করার জন্য একটি নির্বাচিত সরকারই সর্বোত্তম সরকার। নির্বাচনই হচ্ছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চাবিকাঠি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কেউ দলকে বিভক্ত করতে পারেনি। বরং বিএনপি আরও শক্তিশালী হয়েছে। দলকে আরও শক্তিশালী করে আমরা এগিয়ে যাব এবং নিঃসন্দেহে নির্বাচনে জিতে দেশ পুনর্গঠনে কাজ করব।’