বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তরুণদের পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩ নভেম্বর, ২০২৪ ২২:৩৩

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘দেশের তরুণ-যুবকরা রাজনীতিবিদ নয় এবং কোনো রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টাও তারা করছে না। তবে তারা নিজেদের জন্য একটি নতুন দেশ চায়। নতুন বাংলাদেশ দেখতে চায়।’

দেশে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে তরুণদের মনস্থির করা ও স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সূত্র: বাসস

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এনডিসি ও এফডব্লিউসি কোর্সের সদস্যদের উদ্দেশে বক্তব্যকালে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি বিশেষ করে তরুণদের তাদের মনস্থির করতে, চিন্তা করতে ও স্বপ্ন দেখতে উৎসাহিত করি। স্বপ্ন হল পরিবর্তনের সূচনা। স্বপ্ন দেখলে পরিবর্তন হবে। আপনি যদি স্বপ্ন না দেখেন তবে এটি কখনোই হবে না।’

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রোববার তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের এনডিসি ও এফডব্লিউসি কোর্সের সদস্যবৃন্দ ফটোসেশনে অংশ নেন। ছবি: পিআইডি

তরুণদের দিকে ইঙ্গিত করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘নিজেকে প্রশ্ন করুন- আমি বিশ্বের জন্য কী করতে পারি? আপনি কী করতে চান তা একবার বুঝতে পারলে তা করতে পারবেন। কারণ আপনার সেই ক্ষমতা রয়েছে।

‘বিশ্বের তরুণ প্রজন্ম এখন সমগ্র মানব ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রজন্ম। তারা যথেষ্ট স্মার্ট হওয়ার কারণে নয় বরং তাদের হাতে প্রচুর প্রযুক্তি রয়েছে বলে।’

প্রযুক্তিকে আলাদিনের চেরাগ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনি যদি ছাত্র-বিপ্লবের দিকে তাকান, তবে এটি প্রযুক্তির বিষয়। তারা একে অপরের সঙ্গে খুব দ্রুত যোগাযোগ করতে পারত। তাদের কোনো কমান্ড কাঠামো ছিল না।’

ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিপ্লব সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দেশের তরুণ-যুবকরা রাজনীতিবিদ নয় এবং কোনো রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টাও তারা করছে না। তবে তারা নিজেদের জন্য একটি নতুন দেশ চায়। নতুন বাংলাদেশ দেখতে চায়।’

বিশ্ব শান্তির উল্লেখ করে ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী বলেন, বেশিরভাগ সময় মানুষ শান্তির নামে একে অপরকে হত্যা করে।

‘...কিন্তু আমরা প্রতিদিন, আমাদের সব উচ্চারণ ও সব দর্শনে নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করি। আমরা শান্তি চাই। দেশের ভেতরে শান্তি, সব দেশের মধ্যে শান্তি এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমার কাছে অত্যন্ত হাস্যকর মনে হয় যে বিশ্বের প্রতিটি সরকারেরই একটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আছে, যা আক্ষরিক অর্থে যুদ্ধ মন্ত্রণালয়। কিন্তু কোনো শান্তি মন্ত্রণালয় নেই। যদি আপনার লক্ষ্য শান্তি হয়, তাহলে আপনার কি শান্তি মন্ত্রণালয় থাকা উচিত নয়?’

আক্রমণের বিরুদ্ধে জনগণকে নিজেদের রক্ষা করতে হবে- এটি পর্যবেক্ষণ করে অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বের সরকারগুলোতে যুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি শান্তি মন্ত্রণালয় রাখার ওপর জোর দেন। প্রতিরক্ষা অ্যাটাশেসহ বৈদেশিক সম্পর্কে শান্তি অ্যাটাশে প্রবর্তনের পরামর্শ দেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে এনডিসি ও এএফডব্লিউসি কোর্সের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানান এবং তাদের সাফল্য কামনা করেন।

এ বিভাগের আরো খবর