বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গণঅভ্যুত্থানকে পাশ কাটিয়ে সংবিধান প্রণয়নের সুযোগ নেই: আলী রিয়াজ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১৮:২২

সংবিধান সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘সংবিধান সংস্কারের সুপারিশ তৈরির জন্য বিভিন্ন অংশীজনের লিখিত মতামত ও প্রস্তাব নেবে কমিশন। পাশাপাশি সংবিধান সংস্কারে সাধারণ জনগণের মতামত ও প্রস্তাব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। আগামী মঙ্গলবার থেকে এই ওয়েবসাইট কার্যকর হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানকে পাশ কাটিয়ে সংবিধান প্রণয়নের কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ। তিনি বলেছেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের বিষয়টি সংবিধানে রাখতে হবে। কারণ গণঅভ্যুত্থান না হলে এই কমিশন হতো না।

জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আলী রিয়াজ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সংবিধান সংস্কার কমিশনসহ বর্তমানে যা কিছু হচ্ছে সবকিছুই হাজারো মানুষের আত্মদানের ফসল। ফ্যাসিবাদীরা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য যা যা করেছে এবং তার বিপরীতে সাধারণ ছাত্র-জনতা যে ভূমিকা পালন করেছে, তা যদি উল্লেখ না থাকে তাহলে সংবিধানে কী লিপিবদ্ধ করব? কেন আমরা এতো মানুষের আত্মত্যাগ দেখলাম তা অবশ্যই লিপিবদ্ধ করতে হবে।’

কমিশন প্রধান বলেন, ‘সংবিধানে থাকুক বা না থাকুক, নিঃসন্দেহে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পেছনে ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন রয়েছে। সেটা তো নিঃসন্দেহে ডকুমেন্টেড হতে হবে। এর বাইরে গিয়ে বা এই ইতিহাসকে পাশ কাটিয়ে আমরা জাতি হিসেবে কিছুই করতে পারব না। আমি মনে করি চব্বিশের গণমানুষের বিপ্লবকে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ করা শুধু জরুরি নয়, অনিবার্যও।’

আলী রিয়াজ বলেন, ‘সংবিধান সংস্কার কমিটিতে যারা আছেন তারা প্রত্যেকেই সংবিধান নিয়ে দীর্ঘ বছর যাবৎ কাজ করেন। আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, গত প্রায় দুই-আড়াই বছর যাবৎ চেষ্টা করেছি সংবিধানটাকে বোঝার।

‘সুতরাং এই কমিশনকে অভিজ্ঞতাহীন বলার কোনো সুযোগ নেই। কমিশন এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না বা নেবে না। সবমিলিয়ে কমিশনই সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’

গণমাধ্যমের এই শিক্ষক জানান, সংবিধান সংস্কারের সুপারিশ তৈরির জন্য বিভিন্ন অংশীজনের লিখিত মতামত ও প্রস্তাব নেবে কমিশন। পাশাপাশি সংবিধান সংস্কারে সাধারণ জনগণের মতামত ও প্রস্তাব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। আগামী মঙ্গলবার থেকে এই ওয়েবসাইট কার্যকর হবে। প্রেস রিলিজের মাধ্যমে সেই ঠিকানা জানানো হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে লিখিত মতামত এবং সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠানোর জন্য তাদের সনির্বন্ধ অনুরোধ করবো। সরকার বিভিন্ন কমিশনের কাছ থেকে পাওয়া সুপারিশগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবে।

‘সংস্কার কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করবে না। কিন্তু তাদের দেয়া প্রতিটি লিখিত প্রস্তাব ও মতামত কমিশন নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করবে এবং কমিশনের সুপারিশে তার যথাসাধ্য প্রতিফলন ঘটাতে সচেষ্ট থাকবে।’

আলী রিয়াজ আরও বলেন, ‘কমিশন এই পর্যায়ে সংবিধান বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী, সিভিল সোসাইটির সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি, সিভিল সোসাইটির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি, পেশাজীবী সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি, তরুণ চিন্তাবিদ, সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করবে এবং তাদের কাছে থেকে লিখিত প্রস্তাব আহ্বান করবে।

‘এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে। আমরা আশা করছি যে আগামী সপ্তাহ থেকেই অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে পারবো।’

তিনি জানান, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই সংবিধান সংস্কারের সুপারিশ তুলে ধরবে কমিশন। তবে কোন পদ্ধতিতে কাজ করা হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান।

এ বিভাগের আরো খবর