বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে বন্যহা‌তির মৃত্যু

  • প্রতিনিধি, শেরপুর   
  • ১ নভেম্বর, ২০২৪ ১৩:০০

শেরপুরের সহকারী বন সংরক্ষক মো. সাদেকুল ইসলাম খান বলেন, ‘বন্যহাতি যেন মারা না যায়, এ জন্য আমাদের জনসচেতনতা কার্যক্রম অব্যাহত আছে। আমাদের শেরপুর জেলায় ৩৪টি এআরটি টিম আছে। আমরা এআরটি টিমের মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরি করছি, যেন হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব কমানো যায়।’ 

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ধানক্ষেত ও পাহাড়ের ঢালে কৃষকদের দেয়া জেনারেটরের তারে জড়িয়ে একটি বন্যহাতির মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলার সীমান্তবর্তী পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

সেখান থেকে গতকাল রাতেই বন বিভাগ ঘটনাস্থল থেকে একজনকে জেনারেটরসহ আটক করে।

আটককৃত শহিদুল ইসলাম জেনারেটরের অপারেটর। সে জেনারেটর জব্দ করে মধুটিলা রেঞ্জ অফিসে রাখা হয়েছে।

এসব তথ্য শুক্রবার সকালে নিশ্চিত করেন ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা ইকো পার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।

বন বিভাগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এক সপ্তাহ ধরে ২৫ থেকে ৩০টি বন্যহাতির পাল উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের বিভিন্ন টিলা ও জঙ্গলে অবস্থান করছে। দিনের বেলায় টিলা বা জঙ্গলে অবস্থান করলেও সন্ধ্যা নামার পর হাতির পাল দল বেঁধে ধানক্ষেতে, লোকালয়ে নেমে আসে। এ জন্য কৃষকরা ফসলরক্ষায় ধানক্ষেত ও তার আশেপাশে জেনারেটরের লাইন দিয়ে পুরো এলাকা বৈদ্যুতিক জিআই তারের মাধ্যমে ঘিরে রাখে।

স্থানীয়রা মশাল জ্বালিয়ে, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে হাতির পাল প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন।

বাতকুচি গ্রামের টিলাপাড়া এলাকায় পাহাড়ের ঢালে গতকাল রাতে হাতির পাল ফসল ক্ষেতে হানা দেয়। ওই সময় একটি হাতি পাহাড়ের ঢালে ধানক্ষেতের পাশে পাহাড়ের উঁচু স্থানে বৈদ্যুতিক জিআই তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ওই সময় অন্য হাতিগুলো মৃত হাতিটিকে ঘিরে রাখে।

রাত ১২টার দিকে বন বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে জেনারেটর জব্দ করে নিয়ে যান। শুক্রবার সকালে মৃত হাতিটি রেখে অন্য হাতিগুলো জঙ্গলে ফিরে যায়।

শেরপুরের সহকারী বন সংরক্ষক মো. সাদেকুল ইসলাম খান বলেন, ‘বন্যহাতি যেন মারা না যায়, এ জন্য আমাদের জনসচেতনতা কার্যক্রম অব্যাহত আছে। আমাদের শেরপুর জেলায় ৩৪টি এআরটি টিম আছে। আমরা এআরটি টিমের মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরি করছি, যেন হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব কমানো যায়।

‘গতকাল রাত নয়টার সময় আমরা জানতে পারি, বাতকুচি নামক স্থানে হাতি মারা গেছে। পরে আমরা এসে দেখি ধানক্ষেত রক্ষা করার জন্য এখানে জেনারেটর দিয়ে একটা লাইন দিয়েছে। সেখানে তারে পেঁচিয়ে একটা হাতি মারা গেছে। আমরা সাথে সাথে একজনকে আটক করি এবং জেনারেটর ও তার জব্দ করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনার সাথে ১০ থেকে ১২ জন জড়িত। তাদের খোঁজা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

‘হাতিটা কিছুদিন আগে একটা বাচ্চা দিয়েছে। এটা মাদি হাতি। মৃত হাতির ময়নাতদন্ত করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর