বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাবেক ভূমিমন্ত্রীর অর্থ পাচারের অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১৮:৪০

সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম-১৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এবং তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সিঙ্গাপুরে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশে অর্থপাচারের অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম-১৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এবং তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সিঙ্গাপুরে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে নাহার ম্যানেজমেন্ট ইনকরপোরেটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলেন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের নামে যুক্তরাষ্ট্রে নয়টি ফ্ল্যাট কেনেন।

কম্পিউটার সফটওয়্যার ব্যবসা করার জন্য ২০১৪ ও ২০১৫ সালে দুবাইয়ে র‌্যাপিড র‌্যাপ্টর এফজিই ও জেবা ট্রেডিং এফজিই নামে দুটি প্রতিষ্ঠান খোলেন সাবেক এই মন্ত্রী। এছাড়া তার স্ত্রী রুখমিলা জামান চৌধুরীর নামে আল-বারশা সাউথ-থার্ড এলাকায় কিউ গার্ডেন্স ও বুটিক রেসিডেন্সে দুটি ফ্ল্যাট কেনেন। ফ্ল্যাট দুটির দাম ২২ লাখ ৫০ হাজার ৩০০ দিরহাম।

২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও আরব আমিরাতে ৬২০টি বাড়ি কেনেন। এসবের বাজারমূল্য প্রায় ৪৮ কোটি ডলার।

এছাড়াও ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরী ২০১০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নিজের ও স্ত্রী রুখমিলা জামানের নামে যুক্তরাজ্য ও দুবাইয়ে আটটি প্রতিষ্ঠান খোলেন, যার স্থায়ী ও চলতি সম্পদের মূল্য ২১ কোটি ৭২ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে এসব কোম্পানি খুলে বিনিয়োগ করেছেন।

এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক এখন পর্যন্ত যে ২১টি প্রতিষ্ঠানকে বিদেশে বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে সেই তালিকায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী বা তার পরিবারের কারও নাম নেই। ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনে সাইফুজ্জামান চৌধুরী যে সম্পদ বিবরণী জমা দেন, সেখানে তার বিদেশে থাকা সম্পদের কোনো তথ্য নেই।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়- অর্থপাচার, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুসারে একটি সম্পৃক্ত অপরাধ বিধায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

এ বিভাগের আরো খবর