লেবাননে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বৈরুতে বাংলাদেশ দূতাবাসে আবেদনকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের ৫২ জনের গ্রুপটি বৃহস্পতিবার রাতে দেশে ফিরছে।
বৈরুতের রফিক হারিরি অন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুবাই হয়ে ঢাকার উদ্দেশে বিমানযোগে রওনা হন তারা।
বৈরুতে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবাসীদের বহনকারী বিমানটি স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে বৈরুতের রফিক হারিরি অন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়ে রাত ১১টায় ঢাকার হযরত শাহাজালাল অন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। বিমানটি মাঝপথে দুবাইতে যাত্রাবিরতি করবে।
এতে বলা হয়, আবেদনকারীদের মধ্যে যাদের পাসপোর্ট, আকামাসহ আবশ্যক ট্রাভেল ডকুমেন্টস প্রস্তুত রয়েছে, তাদের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দূতাবাসের ব্যবস্থাপনায় দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এর আগে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বাংলাদেশ দূতাবাস আগ্রহী নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের জন্য তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
লেবানন থেকে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক ৫৪ জন বাংলাদেশি নাগরিকের প্রথম দলটি ২১ অক্টোবর সন্ধ্যায় দেশে ফিরে আসেন।
দ্বিতীয় দফায় দুই নবজাতকসহ মোট ৬৫ লেবাননপ্রবাসী সৌদি আরবের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে জেদ্দায় যাত্রবিরতির পর ২৩ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যা ৫টা ৩৪ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
তৃতীয় দফায় ৩১ বাংলাদেশির একটি দল বৈরুতের রফিক হারারি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে জেদ্দা হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে ঢাকায় পৌঁছে।
চতুর্থ দফায় ৩০ লেবানন প্রবাসীর একটি দল সোমবার রাত ২টা ৪০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
পঞ্চম দফায় আরও ৩৬ বাংলাদেশি গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে সৌদি এয়ারলাইনসের ফ্লাইটযোগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
এ নিয়ে পাঁচ দফায় ২১৬ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। আজকের ৫২ জনসহ এ সংখ্যা দাঁড়াবে ২৬৮ জনে।
লেবাননে চলমান সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশিদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)-এর সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা সমন্বয় করা হচ্ছে।
লেবাননে আনুমানিক ৭০ হাজার থেকে এক লাখ বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন, তবে এর মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৮০০ জন দেশে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।