বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাষ্ট্র পরিচালনার মেয়াদ চার বছর চান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ২০:৫৭

উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ এক সময় তিন বছর ছিল। এই মেয়াদ বাড়িয়ে পাঁচ বছরে উন্নীত করা হয়েছে। এটা তিন বছর হওয়া উচিত। তাহলে অধিকসংখ্যক জনপ্রতিনিধি এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পাবেন।’

রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বের মেয়াদ চার বছর হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। একইসঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ তিন বছরে ফিরিয়ে আনার পক্ষে মত দিয়েছেন তিনি।

বুধবার সচিবালয় গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মতামত তুলে ধরেন। পরে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানে কোনো সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনার মেয়াদ আছে পাঁচ বছর। কিন্তু পৃথিবীর বৃহৎ শক্তিধর রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রে মেয়াদ যদি চার বছর হতে পারে, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশেও রাষ্ট্র পরিচালনার মেয়াদ চার বছর হতে অসুবিধা কোথায়?’

তবে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা রাষ্ট্র পরিচালনার মেয়াদের বিষয়ে তার বক্তব্যকে একান্ত ব্যক্তিগত বলে উল্লেখ করেন। এ সময় তিনি আবারও বলেন, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় সব ধরনের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে শিগগিরই পূর্ণ মেয়াদে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হবে।

ইউনিয়ন পরিষদ প্রসঙ্গে হাসান আরিফ বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ এক সময় তিন বছর ছিল। এই মেয়াদ বাড়িয়ে পাঁচ বছরে উন্নীত করা হয়েছে। কিন্তু দুই বছর মেয়াদ বৃদ্ধিতে লাভ কী হয়েছে তার কোনো নিদর্শন পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে কখনো কোনও মূল্যায়নও করা হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মেয়াদ তিন বছর হওয়া উচিত। কারণ তিন বছর মেয়াদ হলে ১৫ বছরে পাঁচবার নির্বাচিত প্রতিনিধি এখানে আসবেন। ফলে অধিকসংখ্যক জনপ্রতিনিধি এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পাবেন।’

ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অপসারণ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সময়সাপেক্ষে অবস্থা অনুযায়ী এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় দুই সিটি করপোরেশনে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে ১০টি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে৷

‘দেশে রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট (আরঅ্যান্ডডি) নিয়ে খুব একটা কাজ হয় না। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে জোর দিতেই বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে দল গঠন করা হয়েছে।’

বিএসআরএফ সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফের সভাপতি ফসিহ উদ্দিন মাহতাব।

এ বিভাগের আরো খবর