বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুনামগঞ্জ শহরে নিজ বাড়িতে মা-ছেলে খুন, ঘাতক ‘শনাক্ত’

  • প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ   
  • ২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ২০:৫৯

সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি নাজমুল হক বলেন, ‘এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে সিলেট থেকে পিবিআই এসে কাজ শুরু করেছে। সিআইডির একটি টিমও তদন্ত করছে। একইসঙ্গে পুলিশও কাজ করছে। অপরাধী শনাক্ত হয়েছে। দ্রুতই তারা ধরা পড়বে।’

সুনামগঞ্জ জেলা শহরে নিজ বাসায় নৃশংস হত্যার শিকার হয়েছেন মা ও ছেলে। তারা হলেন ফরিদা বেগম ও তার ২০ বছর বয়সী ছেলে মিনহাজুল ইসলাম। তাদেরকে দা ও বঁটি দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এই জোড়া হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার কাজের মেয়ে এসে ঘরের ভেতরে মা ও ছেলের মরদেহ দেখে চিৎকার দেন। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

সদর থানার ওসি নাজমুল হক বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে সিলেট থেকে পিবিআই এসে কাজ শুরু করেছে। সিআইডির একটি টিমও তদন্ত করছে। একইসঙ্গে পুলিশও কাজ করছে। অপরাধী শনাক্ত হয়েছে।’

প্রতিবেশী ও স্বজনরা জানান, ফরিদা বেগমের স্বামী জাহেদুল ইসলাম চার বছর আগে মারা যান। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়েকে যুক্তরাজ্য প্রবাসী ছেলের কাছে বিয়ে দেয়ার পর থেকে তিনি সেখানেই থাকেন। বাসায় থাকতেন ফরিদা বেগম ও তার কলেজ পড়ুয়া ২০ বছর বয়সী ছেলে মিনহাজুল ইসলাম।

তারা আরও জানান, কিছুদিন ধরে ফরিদা বেগমের খালাতো বোন নার্গিস বেগম ও তার মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছেলে ফাহমিদও এই বাসাতেই থাকছেন। তিনদিন আগে ঢাকা থেকে এই বাসায় আসেন নার্গিস বেগমের আরেক ছেলে ফয়সল আহমদ। ৩০ বছর বয়সী ফয়সল মাদকাসক্ত।

ঘটনার পর ফয়সল ও ফাহমিদকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফয়সলকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়েছেন স্বজনরা।

নার্গিস বেগমকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত দু’জনের শরীরে দায়ের কোপ রয়েছে। দা দিয়ে গলায়ও আঘাত করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে দুটি বঁটি ও দা পাওয়া গেছে।

ফরিদা বেগমের বোন একই মহল্লার বাসিন্দা ছুফিয়া আক্তার জানান, সোমবার রাত ১০টার পরও বোন ফরিদা বেগমের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে তার। তিনি ফোনের চার্জার প্রয়োজন জানিয়ে ফোন দিয়েছিলেন। ওই সময় বাসায় মিনহাজুলও ছিলেন।

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার সকালে অন্য আত্মীয়-স্বজনরা তাকে ফরিদা বেগমের অসুস্থতার খবর জানান। তিনি এসে এই ভয়াবহ অবস্থা দেখতে পান। নার্গিস বেগমের দুই ছেলেকেই পাওয়া যাচ্ছে না। অন্য কেউ তার সঙ্গে হাসপাতালে আসেনি। এজন্য তিনি এসেছেন।

হাসপাতালের বিছানায় থাকা নার্গিস বেগমের সঙ্গে অনেক চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।

সদর থানার ওসি নাজমুল হক বলেন, ‘ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত। পুলিশ অতি দ্রুত আসামিদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম বলা যাচ্ছে না। আসামিরা হত্যার পর তাদের নিরাপদে পালিয়ে যাওয়া (সেইফ এক্সিট) নিশ্চিত করে রেখেছিল। তাই দ্রুততার সঙ্গে তারা পালাতে সক্ষম হয়। তবে পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করছে। আশা করছি ঘাতক শিগগিরই ধরা পড়বে।’

এদিকে ঘটনাস্থল থেকে আলামত জব্দ করতে সিলেট থেকে এসেছে পুলিশের তদন্ত ইউনিট পিবিআই। ইন্সপেক্টর নির্মল চন্দ্র দেবের নেতৃত্বে চার সদস্যের টিম ঘটনাস্থলে কাজ করছে। পিবিআইয়ের সঙ্গে যোগ দিয়েছে সিআইডির একটি ইউনিট।

এ বিভাগের আরো খবর