খুলনার খালিশপুরে আলোচিত জাহিদ হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
এছাড়া আসামিদের বিরুদ্ধে নিহত জাহিদের বড় ভাই জাবেদকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যাচেষ্টা ও আহত করার দায়ে তিন বছর ও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে পৃথকভাবে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত।
সোমবার দুপুরে খুলনার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জুয়েল রানা এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক শাহিন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. আব্বাস আনসারী, মো. নশু ফরাজী, মো. রিয়াজ, মো. নাদিম ও মো. জব্বার।
এ মামলায় সাতজনকে খালাস প্রদান করেছে আদালত। তারা হলেন- মো. ইব্রা আর আলাম আসিফ, মো. রানা হোসেন, সুলতান ওরফে গব্বার, পাতলা সাগর, মো. ওমর ফারুক ওরফে আরিফ, মো. মেহেদী হাসান ওরফে প্যাকেট মেহেদী ও মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, খালিশপুর হাউজিং এস্টেট এলাকার বাসিন্দা সাব্বির হোসেনের বড় ছেলে জাবেদের সঙ্গে এলাকার কতিপয় দুষ্কৃতকারীর পূর্ববিরোধ ছিল। ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর জাবেদ বাসা থেকে চিত্রালী বাজারের উদ্দেশে বের হন। পথিমধ্যে বঙ্গবাসী মোড়ে জনৈক জাহাঙ্গীরের চালের দোকানের সামনে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর আক্রমণ করে। এ ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন।
আক্রমণের ঘটনা জানতে পেরে জাবেদের দুই ভাই মো. সুমন ও জাহিদ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এ সময় মামলার আসামিরা জাহিদকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। জাহিদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক জাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন নিহতের ছোট ভাই মো. সুমন ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে খালিশপুর থানায় মামলা করেন।
২০১৮ সালের ২৬ আগস্ট পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক মো. বাবলুর রহমান খান ১২ জন আসামির নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।