বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২০২৫-২৬ কার্যকালের জন্য জেলা ও মহানগর আমিরের নাম ঘোষণা করেছে।
রাজধানীর মগবাজারে দলের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের বৈঠকে নেতাদের নাম ঘোষণা করেন জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে জামায়াতের আমীর বলেন, ‘সাড়ে ১৫ বছর স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে হাজারো প্রাণের বিনিময়ে দেশ স্বৈরশাসনের কবলমুক্ত হয়েছে।
‘দেশে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দল, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চেতনা অন্তরে ধারণ করে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্যরা।
জেলা ও মহানগরে আমির হলেন যারা
পঞ্চগড়ে অধ্যাপক মো. ইকবাল হোসাইন, ঠাকুরগাঁওয়ে অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন প্রধান, দিনাজপুরে অধ্যক্ষ আনিছুর রহমান, নীলফামারীতে আব্দুস সাত্তার, লালমনিরহাটে অ্যাডভোকেট আবু তাহের, রংপুর মহানগরে মাওলানা এ টি এম আযম খান, রংপুর জেলায় অধ্যাপক মো. গোলাম রব্বানী, কুড়িগ্রামে অধ্যাপক মাওলানা মো. আবদুল মতিন ফারুকী, গাইবান্ধায় মো. আব্দুল করিম সরকার, জয়পুরহাটে ডা. ফজলুর রহমান সাইদ।
বগুড়া শহরে মাওলানা আবিদুর রহমান সোহেল, বগুড়া জেলায় মাওলানা আবদুল হক সরকার, সিরাজগঞ্জে মাওলানা মো. শাহিনুর আলম, পাবনায় অধ্যাপক মো. আবু তালেব মন্ডল, চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাওলানা মো. আবুজর গিফারী, নওগাঁয় মো. আব্দুর রাকিব, রাজশাহী মহানগরে ড. মো. কেরামত আলী, রাজশাহী জেলায় অধ্যাপক আবদুল খালেক, নাটোরে অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলাম, মেহেরপুরে মো. তাজউদ্দীন খান, কুষ্টিয়ায় মো. আবুল হাশেম, চুয়াডাঙ্গায় অ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমিন।
ঝিনাইদহে আলী আজম মো. আবু বকর, যশোরে অধ্যাপক মো. গোলাম রছুল, মাগুরায় অধ্যাপক এম. বি. বাকের, নড়াইলে মো. আতাউর রহমান বাচ্চু, বাগেরহাটে মাওলানা রেজাউল করিম, খুলনা মহানগরে মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, খুলনা জেলায় মাওলানা মুহা. এমরান হুসাইন, সাতক্ষীরায় অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম।
বরগুনায় মাওলানা মো. মহিববুল্লাহ, পটুয়াখালীতে অ্যাভোকেট নাজমুল আহসান, ভোলায় মুহা. জাকির হোসেন, বরিশাল মহানগরে জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, বরিশাল জেলায় অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার, ঝালকাঠিতে অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান, পিরোজপুরে অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসাইন ফরিদ।
জামালপুরে মাওলানা আব্দুস সাত্তার, শেরপুরে মাওলানা হাফিজুর রহমান, ময়মনসিংহ মহানগরে মাওলানা কামরুল আহসান ইমরুল, ময়মনসিংহ জেলায় আবদুল করিম, নেত্রকোনায় ছাদেক আহমাদ হারিছ।
কিশোরগঞ্জে অধ্যাপক মো. রমজান আলী, ঢাকা মহানগর উত্তরে মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণে নূরুল ইসলাম বুলবুল, টাঙ্গাইলে আহসান হাবিব মাসুদ, মানিকগঞ্জে হাফেজ মাওলানা মো. কামরুল ইসলাম, ঢাকা জেলায় মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, গাজীপুর মহানগরে অধ্যাপক মুহা. জামাল উদদীন, গাজীপুর জেলায় ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, মুন্সীগঞ্জে মাওলানা আ. জ. ম. রুহুল কুদ্দুস, নারায়ণগঞ্জ মহানগরে মুহাম্মদ আবদুল জব্বার, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মো. মমিনুল হক সরকার, নরসিংদীতে মাওলানা মো. মোছলেহুদ্দিন, রাজবাড়ীতে অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম, ফরিদপুরে মাওলানা মুহাম্মদ বদরুদ্দীন, গোপালগঞ্জে অধ্যাপক রেজাউল করিম, মাদারীপুরে মাওলানা মোখলিসুর রহমান, শরীয়তপুরে মাওলানা আবদুর রব হাশেমী।
সুনামগঞ্জে মাওলানা তোফায়েল আহমদ খান, সিলেট মহানগরে মো. ফখরুল ইসলাম, সিলেট জেলায় মাওলানা হাবীবুর রহমান, মৌলভীবাজারে মো. শাহেদ আলী, হবিগঞ্জে মাওলানা মোখলিসুর রহমান।
কুমিল্লা মহানগরে কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, কুমিল্লা উত্তরে অধ্যাপক মো. আবদুল মতিন, কুমিল্লা দক্ষিণে অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান, চাঁদপুরে মাওলানা বিলাল হোসেন মিয়াজী, ফেনীতে মুফতি আবদুল হান্নান, নোয়াখালীতে মো. ইছহাক খন্দকার, লক্ষ্মীপুরে মাস্টার রুহুল আমিন ভূঁইয়া।
চট্টগ্রাম মহানগরে আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তরে আলাউদ্দিন শিকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণে আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, কক্সবাজারে অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী, খাগড়াছড়িতে সৈয়দ মো. আব্দুল মোমেন, রাঙ্গামাটিতে অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল আলীম এবং বান্দরবানে এস. এম. আবদুছ ছালাম আজাদ।