রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনে প্রবেশের চেষ্টা করতে গিয়ে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন আরও একজন। তাদেরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ দু’জন হলেন ফয়সাল আহমেদ বিশাল ও শফিকুল ইসলাম। আর সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন আরিফ। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে একদল বিক্ষোভকারী বঙ্গভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। পরে সেনাবাহিনী ও পিজিআর সদস্যরা ব্যারিকেডের সামনে অবস্থান নেন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, ‘বঙ্গভবনের সামনে থেকে ছররা গুলিতে আহত হয়ে দুজন ও সাউন্ড গ্রেনেডে আহত হয়ে একজনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।’
এদিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আদিলুর রহমান শুভ্র। আগামীকাল বুধবার বিকেল ৫টার দিকে তাদের বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে বঙ্গভবনের সামনের সড়কে একাধিক সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা বঙ্গভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে বাধা দেয় নিরাপত্তা বাহিনী।
রাত ৮টা ১৫ মিনিটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নারী সদস্য মাইকে ঘোষণা দেন। এরপর কয়েকশ’ ছাত্র-তরুণ বঙ্গভবনের সামনের ব্যারিকেডে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। ৮টা ২২ মিনিটের দিকে আন্দোলনকারীদের দিকে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে উত্তেজনা আরও বাড়ে। পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টাও করেন বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ।
এই পর্যায়ে সেনা সদস্যরা পুলিশ সদস্যদের বঙ্গভবনের ভেতরে পাঠিয়ে দেন। পরে বিক্ষোভকারীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান উপস্থিত সেনা সদস্যরা। রাত সাড়ে ৯টার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে সেনা সদস্যরা মাইকিং করে আন্দোলনকারীদের সরে যেতে বলেন।
এদিকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে বঙ্গভবন ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
বঙ্গভবনের সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ ও সেনা বাহিনীর এপিসি ও জলকামান।