বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল পুনরুজ্জীবিত

  • বাসস    
  • ২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১১:৫৬

মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, “আপিল বিভাগে পেন্ডিং মামলাটি পূর্ণাঙ্গ শুনানি হয়ে নিস্পত্তি হয়নি। ‘ডিসমিসড ফর ডিফল্ট’ হয়েছে। সে জন্য আমরা মামলাটি পুনরুজ্জীবনের আবেদন করি। এখন আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর মেরিট অনুযায়ী শুনানি হবে। সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তে যদি আমাদের আপিল অ্যালাউ হয়, তখন আমরা নিবন্ধন ফিরে পাব। দলীয় প্রতীক ফিরে পাব।”

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।

আদালতে জামায়াতের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

আজকের এ আদেশের ফলে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলটি আবার শুনানি হবে সর্বোচ্চ আদালতে।

এক রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াতে ইসলামী, তবে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানিতে জামায়াতের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় গত নভেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ বলে আপিল খারিজের আদেশ দেন। ফলে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল থাকে।

মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, “আপিল বিভাগে পেন্ডিং মামলাটি পূর্ণাঙ্গ শুনানি হয়ে নিস্পত্তি হয়নি। ‘ডিসমিসড ফর ডিফল্ট’ হয়েছে। সে জন্য আমরা মামলাটি পুনরুজ্জীবনের আবেদন করি।

“এখন আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর মেরিট অনুযায়ী শুনানি হবে। সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তে যদি আমাদের আপিল অ্যালাউ হয়, তখন আমরা নিবন্ধন ফিরে পাব। দলীয় প্রতীক ফিরে পাব।”

তিনি আরও বলেন, ‘একইভাবে নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পাওয়ার মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচনগুলোর যখন আয়োজন করা হবে, তখন জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দল হিসেবে অংশগ্রহণ করতে কোনো আইনগত বাধা থাকবে না।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে শেখ হাসিনার সরকার।

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ (১) ধারায় জামায়াত, ছাত্রশিবিরসহ তাদের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে গত ২৮ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর