হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফজলুর রহমানকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভর্তি দেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তিনি তিন ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
নিহতের ছেলে ফুয়াদ হাসান বলেন, ‘আমাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের পুনিয়াভিট এলাকায়। আমার বাবা অধ্যক্ষ ফজলুর রহমান ২০২৩ সাল থেকে নবীগঞ্জ সরকারি কলেজে কর্মরত ছিলেন। তিনি গত শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ৮টায় বাড়ি থেকে বের হন।
‘বাবা রোববার পর্যন্ত বাড়ি না আসায় আমার মা সৈয়দা সুলতানা আক্তার নবীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সব থানায় তার নিখোঁজ হওয়ার বার্তা পাঠানো হয়।’
শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল খালেক জানান, অধ্যক্ষ ফজলুর রহমানের মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ‘গত শুক্রবার সন্ধা ৭টায় জহির নামে এক ব্যক্তি ফজলুর রহমানকে অচেতন অবস্থায় (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করেন। রোববার হাসপাতালের ৬০১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
‘ধারণা করা হচ্ছে, ছিনতাইকারী বা মলম পার্টির খপ্পরে পড়ে নেশাজাতীয় কোনো কিছু খাইয়ে তাকে অজ্ঞান করে সঙ্গে থাকা সবকিছু লুটে নেয়া হয়েছে। তবে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।’