রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সন্ত্রাসীর ছুরিকাঘাতে ইমরান হোসেন নামে ২২ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্য হয়েছে।
রোববার রাতে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে ভর্তি দেন।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহতের ভাই সুমন মিয়া বলেন, ‘আমার ভাই মিরপুর বাংলা কলেজে ইন্টারমিডিয়েটের শিক্ষার্থী ছিল। গত রাতে বাদশা নামে এক সন্ত্রাসী ফোন করে ইমরানকে বাসা থেকে তেজগাঁও ১৭ নম্বর গলিতে ডেকে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা সেখানে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। ওর চিৎকার শুনে আমরা গিয়ে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসি। ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তির পর অবস্থার অবনতি হলে তৎক্ষণাৎ ওকে আইসিইউতে রেফার করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে সে মারা যায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার কাদিরাবাদ গ্রামে। বাবার নাম
মোহাম্মদ মিজান মিয়া। ইমরান তেজগাঁওয়ের গ্রীন রোড ৭৩/ক হোল্ডিংয়ের বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো। আমরা চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সে ছিল তৃতীয়।’
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।’