বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) নোয়াখালী জেলা অফিসে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনার তিন দিন পর মামলা নিয়েছে পুলিশ।
গত ১৬ অক্টোবর দুপুরে দুই সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরের দিন ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান সুধারাম মডেল থানায় মামলা দিতে যান। অবশেষে তিন দিন পর রোববার দুপুরে সুধারাম মডেল থানায় মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করা হয়।
মামলায় বিএডিসি নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের স্টোরকিপার মিরাজ হোসেন ওরফে শান্তকে আসামি করা হয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার বাদী মাহবুবুর রহমান লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার বাসিন্দা। তিনি নিউজবাংলা ও দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি এবং নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য।
এ ঘটনায় দেশ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মাওলা জিয়াউল আহসান সুজনকেও লাঞ্ছিত করা হয়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘মামলাটি তদন্তের পর দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই আসামি পলাতক আছেন। এখনও পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।’
গত ১৬ অক্টোবর দুপুরে বিএডিসি নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ে উপপরিচালক বরাবরে তথ্য চেয়ে আবেদন ফরম জমা দিতে যান সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান ও দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি মাওলা রকিবুল আহসান সুজন। সেখানে উপপরিচালক (বীজ বিপণন) নুরুল আলমের সঙ্গে তার কক্ষে কথা বলার সময় প্রতিষ্ঠানের স্টোরকিপার মিরাজ হোসেন ওরফে শান্ত কক্ষে প্রবেশ করে হঠাৎ ভিডিও করা শুরু করেন।
একপর্যায়ে সাংবাদিকেরা চাঁদা নিতে এসেছেন, এমন দাবি করে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। তাকে চিৎকার-চেঁচামেচি ও ভিডিও করা বন্ধ করতে বলা হলে কর্মচারী মিরাজ হোসেন তাকে কিলঘুষি দিতে শুরু করেন।
পরে মারধরের জন্য লাঠি নিতে মিরাজ কক্ষ থেকে বের হলে কক্ষে থাকা অপর সাংবাদিক রকিবুল আহসান দরজা বন্ধ করে দেন।
গত ১৭ অক্টোবর উপপরিচালক নুরুল আলম এ ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে একটি চিঠি দেন।
চিঠিতে স্টোর কিপার মিরাজ হোসনকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।