বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বাধীনতার স্টেপে ছিল, মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবের ভূমিকা ছিল না: মাহমুদুর

  • প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ২০ অক্টোবর, ২০২৪ ২০:৪৩

মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতার সংগ্রামে যে স্টেপ, সেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা ছিল, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে তার কোনো ভূমিকা ছিল না। কারণ মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই তিনি পাকিস্তান বাহিনীর হাতে আত্মসমর্পণ করে চলে গিয়েছেন।’

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পদক্ষেপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা ছিল উল্লেখ করে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে তার কোনো ভূমিকা ছিল না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে সোমবার বিকেলে আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

‘ফ্যাসিবাদী বয়ান নির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা: একটি পর্যালোচনা’ শীর্ষক সংলাপের আয়োজন করে ডায়ালগ ফর ডেমোক্রেসি। প্ল্যাটফর্মটির আহ্বায়ক শেখ আরমান হোসেনের সভাপতিত্বে সংলাপে অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী।

মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতার সংগ্রামে যে স্টেপ, সেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা ছিল, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে তার কোনো ভূমিকা ছিল না। কারণ মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই তিনি পাকিস্তান বাহিনীর হাতে আত্মসমর্পণ করে চলে গিয়েছেন।’

মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘১৯৭২ সাল থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত শুরু হয়ে এক ব্যক্তির বন্দনা শুরু হয়ে যায়। সেই ব্যক্তির নাম শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবের আত্মসমর্পণের পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী তার পরিবারকে খাইয়েছে, পরিয়েছে।

‘কাজেই মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবের কোনো ভূমিকা ছিল, ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে আমি অন্তত এটি মানতে রাজি না।’

মুক্তিযুদ্ধের প্রধান চরিত্রগুলোকে মুছে ফেলা হয়েছে দাবি করে মাহমুদুর রহমান বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের যে চরিত্রগুলো, তাদেরকে আস্তে আস্তে ভুলিয়ে দেওয়া হলো। যেমন: জিয়াউর রহমান। তিনি বলেছিলেন, ‘উই রিভল্ট’। এর মাধ্যমে তিনি প্রথম যুদ্ধ শুরু করেছিলেন।

“মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ওসমানী। কারণ তিনি প্রধান সেনাপতি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র মাওলানা ভাসানী। মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র তাজউদ্দীন আহমেদ। তিনি প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।”

মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ছিল সৈয়দ নজরুল। তিনি অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তাদের সব নাম মুছে দিয়ে শুধুমাত্র একটি নামের বন্দনা শুরু হয়ে গেল। সেটি শেখ মুজিবুর রহমান।’

এখন গণমাধ্যম ফ্যাসিবাদ প্রত্যাবর্তনের সুযোগ তৈরি করছে দাবি করে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘এখন মিডিয়া একটি বয়ান তৈরি করছে। সেটি হলো শেখ মুজিব ভালো, শেখ হাসিনা খারাপ। অথচ বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের মূল কাল্ট হলো শেখ মুজিব। সেই কাল্টকে তারা বাঁচিয়ে রাখতে চায়।

‘কয়েক দিন আগে ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম যে আর্টিকেল লিখেছেন, সেটিরও মূল কথা এটা।’

তিনি আরও বলেন, “শেখ মুজিব তার সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে, দুর্ভিক্ষে লাখ লাখ মানুষ মেরেছে, রক্ষীবাহিনীর মাধ্যমে ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষকে বিনা বিচারে হত্যা করেছে, গণতন্ত্রের কবর দিয়েছে, বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে, সকল পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছে।

“ফলে সাড়ে তিন বছরে যে এত কিছু করেছে সেই লোক শেখ হাসিনার মতো ১৫ বছর ক্ষমতা পেলে হাসিনার চেয়ে সবচেয়ে ভয়ংকর ফ্যাসিস্ট হতো শেখ মুজিব। এখন যারা এই কথা বলার চেষ্টা করছে যে ‘শেখ হাসিনা খারাপ, শেখ মুজিব ভালো’ আসলে তারা নতুন করে ফ্যাসিবাদ প্রত্যাবর্তনের পথ রচনা করছে। আমাদেরকে এই ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকতে হবে।”

আমার দেশ পত্রিকার নতুন করে আসার বিষয়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যেই আমরা এটি করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশের পক্ষে বয়ান তৈরি করা এবং ভারতীয় বয়ানের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যই আমার দেশ পত্রিকা ফিরে আসবে।’

এ বিভাগের আরো খবর