বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান রুখতে ঐক্যের ডাক বিএনপির

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৯ অক্টোবর, ২০২৪ ২২:২৭

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের সহযোগীরা এখনও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়ে গেছে। স্বৈরাচারী শাসক গোষ্ঠীর দোসররা গণতান্ত্রিক শক্তির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য নানামুখী প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের সব অশুভ প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে হবে।’

আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান রুখে দিতে সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান। একইসঙ্গে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব পালনে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির এই সদস্য শনিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতা ও সাবেক এমপি মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাসের স্মরণ সভায় এই আহ্বান জানান। সভা শেষে দলটির জাতীয় কাউন্সিলও অনুষ্ঠিত হয়।

স্মরণ সভায় নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘গত ১৬ বছরে যারা দেশের মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে তারা অনুশোচনা প্রকাশ করেনি, অনুতাপ প্রকাশ করেনি। তারা এখনও দেশের ক্ষতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

‘আমাদের লক্ষ্য অবিচল রেখে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দুর্ভাগ্যজনক হলো- এত দমন-পীড়ন সহ্য করেও আমরা শিক্ষা নেইনি।’

আক্ষেপ প্রকাশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শুধু সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে একটি গণতন্ত্রপন্থি দল আরেকটি দল সম্পর্কে কটূক্তি করছে, যা কোনো কাজে আসে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা গণঐক্য গড়ে তুলে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করেছি। এই ঐক্যের সঙ্গে কোনোভাবে আপস করা হলে সেই ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত হবে এবং আমাদের কাউকেই রেহাই দেয়া হবে না। এজন্য আমাদের ঐক্য বিপন্ন করা উচিত নয়।’

বিএনপি স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘দেশ গঠন ও জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে ডান, বাম, মধ্যপন্থি ও ইসলামি সব শক্তিকে নিয়ে কাজ করাই বিএনপির লক্ষ্য।

‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই, এ দেশের মানুষ যেন আর কখনও ফ্যাসিবাদ ও নিপীড়নের শিকার না হয়। আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষেও কথা বলি, কিন্তু এর অপব্যবহারের পক্ষে নই।’

স্বৈরাচারী শাসক গোষ্ঠীর দোসররা গণতান্ত্রিক শক্তির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য নানামুখী প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে সতর্ক করেন নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের সব অশুভ প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে হবে।

‘স্বৈরাচারের পতনের পর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে সহায়তা করাই আমাদের দলের লক্ষ্য।’

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র মানে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করা। ফ্যাসিবাদ দূর হলেও গণতন্ত্র এখনও পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়নি। এটি পুনরুদ্ধার করার দায়িত্ব সরকারের। আমরা আশা করি, তারা এটি সঠিকভাবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করবে।’

বিএনপির এই বর্ষীয়াণ নেতা বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে প্রস্তুত রয়েছে। তবে সরকারের লক্ষ্য জনগণের কাছে পরিষ্কার হতে হবে। তাদের কর্মকাণ্ডের প্রকৃতি আমাদের বুঝতে হবে।

‘যারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাধা দেয়ার চেষ্টা করবে তাদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করতে হবে। ফ্যাসিবাদের সহযোগীরা এখনও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়ে গেছে। তারা যেন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী বাহিনীকে ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেজন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১৫ বছরে বিএনপির সাত শতাধিক নেতা-কর্মী গুমের শিকার হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই আর ফিরে আসেননি। আমরা জানি না তারা বেঁচে আছেন কি না। তাদের সন্তান, বাবা-মা ও স্বজনরা আজও প্রিয়জনদের ফেরার অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছেন।

‘শেখ হাসিনার শাসনামলে বিএনপির সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘অসংখ্য ছাত্র ও নাগরিকের আত্মত্যাগের মাধ্যমে দেশের মানুষ শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্ত হয়েছে। জনগণ যাতে আর এ ধরনের শাসনের মুখোমুখি না হয় তা নিশ্চিত করা এখন আমাদের দায়িত্ব।’

এ বিভাগের আরো খবর