আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম এগিয়ে নিতে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে বিদ্যমান আইন অনুসরণ করে সার্চ কমিটি গঠন করবে সরকার। এই প্রক্রিয়ায় কোনো রাজনৈতিক প্রভাব ছাড়াই অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি বজায় থাকবে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম শনিবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, প্রেস উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও গণফোরামসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মাহফুজ আলম বলেন, সরকার তার দলনিরপেক্ষ অবস্থান থেকে নিরপেক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে এই সার্চ কমিটি গঠন করবে। সার্চ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক কোনো চাপ বা হস্তক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না।
পুনর্গঠিত নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিমূলক যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
সরকারের শুরু করা সংস্কার কার্যক্রমও সমান্তরালে চলমান থাকবে বলে জানান বিশেষ সহকারী।
সংলাপের বিষয়ে মাহফুজ আলম বলেন, নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়েই বেশি কথা হয়েছে। এছাড়া দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, তিনটি নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা, গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগের বিচার- এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এককভাবে এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। যারা পালিয়েছেন, তারা কীভাবে গেলেন সে বিষয়েও অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশে তিনদিন কোনো সরকার ছিল না। মূলত সেই সময়ই অনেকে পালিয়েছেন।