সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, এ পদ্ধতিতে দুর্নীতিবাজরা পার্লামেন্টে ঢোকার সুযোগ পাবে না।
কিশোরগঞ্জের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শনিবার সকালে জেলা জামায়াতে ইসলামীর রুকন (সদস্য) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির ফর্মুলা জাতির সামনে উপস্থাপন করেছে। সেই ফর্মুলা আপাতদৃষ্টিতে অনেকেই অন্যভাবে ব্যাখ্যা করছেন। পৃথিবীর ৯১টি দেশে সংখানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালু রয়েছে।
‘এই পদ্ধতিতে জনগণ দলের প্রতীকে ভোট দেবে; কোনো ব্যক্তিকে ভোট দেবে না। যেই দল যত পারসেন্ট ভোট পাবে, সেই দল তত সিট পাবে পার্লামেন্টে। আর পার্লামেন্টে কারা যাবে সেটা ঠিক করে দেবে দল।’
তিনি বলেন, ‘কোনো চোর, ডাকাত, ব্যবসায়ী, দুর্নীতিবাজ আর পার্লামেন্টে ঢোকার মতো সুযোগ পাবে না যদি এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়।’
মতিউর আরও বলেন, ‘বর্তমান সিস্টেমে এখন কোনো জায়গায় ভোট হলো তিন লাখ। এই তিন লাখ ভোটের মাধ্যমে যিনি এক লাখ ৫১ হাজার ভোট পাবেন, তিনি পাশ করবেন। আর ১ লাখ ৫১ হাজার ভোট নেয়ার জন্য ওই সিটের মাঝে সবচেয়ে কালো টাকার মালিক যিনি, আর যিনি সবচাইতে বেশি সন্ত্রাসী, যার দাপট বেশি, মাস্তান বেশি, তাকেই দল সেখানে মনোনয়ন দেয়, যাতে কেন্দ্র দখল করে ১ লাখ ৫১ হাজার ভোট পেয়ে পাশ করতে পারে।
‘এই সিস্টেম বাংলাদেশের মাটিতে বন্ধ করার জন্য সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। তখন দলগুলো তাদের ইশতেহার জনগণের সামনে তুলে ধরবে। জনগণ যে দলকে পছন্দ করবে, সেই দলকেই ভোট দেবে। কারও ভোট মাইর যাবে না। এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সবাই পার্লামেন্টে যেতে পারবে পার্সেন্টেজ অনুসারে।’