বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরাপত্তার কারণে ভারতে এসেছিলেন এবং তিনি ভারতেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
নয়াদিল্লিতে বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি ভারত জেনেছে বলেও উল্লেখ করেন মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ক কিছু প্রতিবেদন দেখেছি। কিন্তু আমার বলার কিছু নেই।’
আগে দেয়া বক্তব্যের উল্লেখ করে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘শেখ হাসিনা নিরাপত্তার কারণে স্বল্প সময়ের নোটিশে ভারতে এসেছিলেন এবং তিনি ভারতে থাকবেন।’
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারত কবে নাগাদ ভিসা কার্যক্রম পুনরায় শুরু করবে- এমন প্রশ্নে জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে মেডিক্যাল ভিসা ও জরুরি ভিসা ইস্যু করছি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির (বাংলাদেশে) উন্নতি হলে এবং পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে ভিসা কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা হবে।’
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ৭ মার্চসহ বেশ কয়েকটি জাতীয় ছুটি বাতিল করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও উত্তর দেননি মুখপাত্র।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে চেল যান শেখ হাসিনা। তিনি দিল্লিতে পৌঁছানোর একদিন পরই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন যে অল্প সময়ের নোটিশে তিনি ভারতে আসার অনুমোদন চেয়েছিলেন।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে তাকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।