গাইবান্ধায় তাঁতী লীগের এক নেতাকে কান ধরে উঠবোস করানোর ভিডিও ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
বৃহস্পতিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি নজরে আসে এই প্রতিবেদকের। ইংরেজিতে ‘এমডি সিরাজুল ইসলাম’ নামের ওই আইডিতে একদিন আগে ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে বলে দেখা যায়।
তবে ঘটনাটি ঠিক কোন দিন বা সময়ের তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ভিডিওতে কান ধরে উঠবোস করা ওই নেতার নাম ডিউক মিয়া। তিনি পলাশবাড়ী উপজেলা তাঁতী লীগের সাবেক দফতর সম্পাদক। তার বাড়ি একই উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের পূর্ব গোপালপুর (মিয়াপাড়া) গ্রামে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ৪২ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে ডিউক মিয়াকে কোনো এক ব্যক্তির নির্দেশে কান ধরে উঠবোস করতে দেখা যায়। এ সময় একাধিক ব্যক্তির কণ্ঠ শোনা গেলেও তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
ভিডিওটিতে অজ্ঞাত যুবকের প্রশ্ন- ‘ভাই, তুমি আর আ.লীগ করব্যা (করবে)?
ডিউক উত্তরে বলেন- ‘না ভাই, আমি আর আ.লীগ করবো না।’
তারপর কয়েক সেকেন্ড কোনো কথা শোনা যায়নি।
এরপর ডিউককে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়- ‘কান ধরো, পশ্চিম মুখ হয়া (হয়ে)। মেলা (অনেক) জনেক তো (ব্যক্তিকে) ধর্যা (ধরে) দিছিলা আগে।’
উত্তরে ডিউক বলেন, ‘না ভাই, ধরে দেইনি।’
পরে ‘বসো’ বলে এই নেতাকে পেছন থেকে লাথি মারতে দেখা যায়। ভিডিওর শেষের দিকে তাকে আরও কয়েকটি লাথি মারতে দেখা যায়। ভিডিওর একেবারে শেষ অংশে দুই ব্যক্তির মুখ দেখা গেলেও তাদের পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি নিউজবাংলা।
এ ঘটনায় ওই নেতার (ডিউক) বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ভিডিওতে কয়েক ব্যক্তির কথোপকথন থেকে ধারণা করা যায়, ডিউক মিয়াকে রাজনৈতিক কোনো ঘটনার কারণে হেনস্থা করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন মিয়া মোবাইল ফোনে বলেন, ‘ফেসবুকে ডিউককে কান ধরে উঠবোস করানোর ভিডিওটি আমার চোখে পড়েনি। ডিউক পলাশবাড়ী উপজেলা তাঁতী লীগের পূর্বের কমিটির দপ্তর সম্পাদক ছিলেন।’
বিষয়টি নিয়ে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।