বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নোয়াখালীতে নিউজবাংলার প্রতিনিধিসহ দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা

  • প্রতিনিধি, নোয়াখালী   
  • ১৬ অক্টোবর, ২০২৪ ২১:৪৫

নোয়াখালীতে বিএডিসি কার্যালয়ে তথ্য চাইতে যান নিউজবাংলার জেলা প্রতিনিধি মাহাবুবুর রহমান বাবু ও দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি মাওলা রকিবুল আহসান সুজন। বিএডিসি উপ-পরিচালকের কক্ষে অবস্থানকালে তাদের ওপর হামলা চালান ওই কার্যালয়ের স্টোর কিপার মিরাজ হোসেন শান্ত।

নোয়াখালীতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন-বিএডিসি কার্যালয়ে তথ্য চাইতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন নিউজবাংলার জেলা প্রতিনিধিসহ দুই সাংবাদিক।

বুধবার দুপুর ১টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর নতুন বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন বিএডিসির উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারী ওই কার্যালয়ের স্টোর কিপার এবং লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

হামলার শিকার সাংবাদিকরা হলেন- নিউজবাংলা ও দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি মাহাবুবুর রহমান বাবু ও দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি মাওলা রকিবুল আহসান সুজন। হামলায় সাংবাদিক মাহাবুবুর রহমান আহত হয়েছেন। তিনি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন।

মাহাবুবুর রহমান জানান, বিএডিসির নিয়মিত-অনিয়মিত শ্রমিক, নারিকেল গাছ সংগ্রহের কৃষক ও বিক্রয় তালিকার জন্য তথ্য অধিকার ফরমে আবেদন করা হয়। আবেদনটি নিয়ে বিএডিসি উপ-পরিচালক (বীজ বিপনন)-এর জেলা কার্যালয়ে তিনি ও দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি মাওলা রকিবুল আহসান সুজন সশরীরে যান। সেখানে উপ-পরিচালক নুরুল আলমের সঙ্গে তার কক্ষে কথা বলছিলেন তারা। হঠাৎ ওই প্রতিষ্ঠানের স্টোর কিপার মিরাজ হোসেন শান্ত কক্ষে প্রবেশ করে দুই সাংবাদিকের ভিডিও করা শুরু করেন। এ সময় সাংবাদিকরা চাঁদা নিতে এসেছেন এমনটা বলে শান্ত চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকেন।

মাওলা রকিবুল আহসান সুজন এক পর্যায়ে শান্ত’র হাত থেকে মোবাইলটা নিয়ে নেন। এ সময় শান্ত মাহবুবুর রহমানকে লাঞ্ছিত করেন এবং লাঠি নিয়ে আসতে রুম থেকে বেরিয়ে যান। পরে সাংবাদিক সুজন কক্ষের দরোজা বন্ধ করে দেন।

মাওলা সুজন বলেন, ‘আমরা তথ্য চাইতে গেলে অফিসের কর্মচারী শান্ত মারমুখী হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে তিনি আমাদের নাজেহাল করেন। কার্যালয়ের প্রধানের সামনে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এমন আচরণ করবেন তা মেনে নেয়া যায় না।

‘তবে উপ-পরিচালক এ সময় শান্তকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন এবং তাৎক্ষণিক দুই সাংবাদিকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।’

অভিযুক্ত মিরাজ হোসেন শান্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘সাংবাদিক মাহাবুবুর রহমান বাবু ও মাওলা সুজন আমার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন এবং তার মোবাইল সেট কেড়ে নেন। বিষয়টি সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসক ও সুধারাম মডেল থানাকে অবহিত করেছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএডিসি জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (বীজ বিপণন) নুরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মীদের লাঞ্ছিত করা অন্যায় হয়েছে। আমার অফিসের কর্মচারীর অন্যায় হয়েছে। ঘটনাটি নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও অন্য গণমাধ্যমকর্মীরাসহ বসে সমাধান করা হবে। একইসঙ্গে অভিযুক্ত মিরাজের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মিরাজ হোসেন শান্ত লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরজাঙ্গলিয়া গ্রামের শাহজাহানের ছেলে। তিনি কমলনগর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ১৫ অক্টোবর লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর