শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা জজকোর্টের সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালকে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। বুধবার দুপুরে ভারতে যাওয়ার পথে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পালের বিরুদ্ধে শেরপুরে হত্যাসহ কমপক্ষে চারটি মামলা রয়েছে। তাকে শেরপুরে আনার জন্য জেলা পুলিশের একটি টিম ইতোমধ্যে যশোরের পথে রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চত করেছেন শেরপুরের পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক ওমর ফারুক মজুমদার বলেন, ‘আমাদের কাছে গোপন খবর ছিল, শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এই পথ দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাবেন। এই তথ্যের ভিত্তিতে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ এবং আইসিপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা ওঁৎ পেতে থাকেন।
‘চন্দন কুমার পাল পাসপোর্টে এক্সিট সিলের জন্য ইমিগ্রেশনে গেলে সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি ইমতিয়াজ ভূয়া জানান, ‘বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন দিয়ে যেসব পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে যাচ্ছেন তাদেরকে গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি ইমিগ্রেশন ডেস্কে দায়িত্বরত অফিসারাও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
‘আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত কোনো এমপি-মন্ত্রী এবং দলীয় নেতাকর্মীরা যেন পালিয়ে যেতে না পারেন সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।’