বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ট্রেনের ধাক্কায় আহত হাতিটি বাঁচানো গেল না

  • প্রতিনিধি, কক্সবাজার   
  • ১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ২২:৫০

বন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকা থেকে ক্রেনের সাহায্যে আহত হাতিটি উদ্ধার করে ডুলাহাজারায় ভেটেরিনারি হাসপাতালে আনা হয়। হাতিটির চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হাতিটিকে বাঁচানো যায়নি।

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ট্রেনের ধাক্কায় আহত হাতিটি কক্সবাজারের ডুলাহাজারায় ভেটেরিনারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাতিটির মৃত্যু হয়।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকা থেকে ক্রেনের সাহায্যে আহত হাতিটি উদ্ধার করে একটি রিলিফ ট্রেন। পরে হাতিটিকে ডুলাহাজারায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি হাসপাতালে আনা হয়।

বনবিভাগের এই কর্মকর্তা বলেন, হাতিটির চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করা হয়। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের চেষ্টার পরও গুরুতর আহত হাতিটিকে বাঁচানো যায়নি। বিকেল ৪টার দিকে হাতিটি মারা যায়।

এর আগে রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে এলিফ্যান্ট ওভারপাসে (হাতি পারাপারের পথ) ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় হাতিটি।

সাফারি পার্কের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনের ধাক্কায় রোববার রাতে বন্যহাতিটি আহত হয়। এরপর বন বিভাগ হাতিটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নির্দেশে মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে চুনতিতে রেলওয়ের একটি রিলিফ ট্রেন আনা হয়। সকালে বন বিভাগ ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ক্রেনের সাহায্যে হাতিটি ট্রেনে তোলা হয়।

এরপর সকাল ৯টার দিকে হাতিটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হাতিটি মারা যায়।

এর আগে হাতিটির চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক বিবেক চন্দ্র সূত্রকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন হাতেম সাজ্জাদ মো. জুলকার নাইন বলেন, ‘ট্রেনের ধাক্কায় আহত হাতিটির আঘাত ছিল খুবই গুরুতর। হাতিটির পেছনের ডান পা ভেঙে শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। মেরুদণ্ডের স্ট্রাকচার, কোমর ও মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছে। হাতিটির বয়স ৮ থেকে ১০ বছর।’

চকরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আরিফ উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে হাতিটির ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, হাতিটি ট্রেনের ধাক্কায় আহত হওয়ার পরপরই আমাদের একটি টিম সেখানে গিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করে। মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি হাসপাতালে আনা হয়।

তিনি জানান, ডুলাহাজারায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কের অভ্যন্তরে হাতিটি মাটিচাপা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর