বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডাকাতির শিকার ১৬ জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি

  • প্রতিনিধি, টেকনাফ (কক্সবাজার)   
  • ১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ২০:৩২

টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, সাগরে মাছ ধরার সময় ৫ অক্টোবর ১৬ জন মাঝি-মাল্লাসহ ‘এফবি মা-বাবার দোয়া’ নামে একটি ট্রলার ডাকাতের কবলে পড়ে। ডাকাতরা সবকিছু লুট করে ট্রলারের বরফ কল স্টোরে তাদেরকে আটকে ট্রলারটি সাগরে ছেড়ে দেয়। পরে আরাকান আর্মি তাদের উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়।’

বাংলাদেশি ১৬ জেলেকে ফেরত দিয়েছে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি। এনেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আরাকান আর্মি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ওপারের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর এমন ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটলো।

মঙ্গলবার দুপুরে ১৬ বাংলাদেশিকে মিয়ানমার থেকে ফেরত আনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ।

টেকনাফ বিজিবির সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ২৮ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার থেকে ১৬ জন মাঝি-মাল্লা ‘এফবি মা-বাবার দোয়া’ নামে একটি ট্রলারযোগে সাগরে মাছ শিকারে বের হয়। ৫ অক্টোবর সাগরে তারা একদল ডাকাতের কবলে পড়ে।

ডাকাত দল সবকিছু ছিনিয়ে নেয়ার পর তাদেরকে মারধর করে ট্রলারে বরফ কল স্টোরে আটকে ট্রলারটি সাগরে ছেড়ে দেয়। এক পর্যায়ে ট্রলারটি ভাসতে ভাসতে মিয়ানমার উপকূলে চলে যায়। পরে আরাকান আর্মি তাদের উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়।’

বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘জেলেদের হেফাজতে নেয়ার পর তাদেরকে ফেরত দিতে আরাকান আর্মির পক্ষ থেকে বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাদের (আরাকান আর্মি) সঙ্গে মোবাইল ফোনে আলোচনা শেষে সোমবার রাতে তাদেরকে ফেরত আনা হয়। তাদের মধ্যে একজন টেকনাফের। বাকিরা কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।’

ফেরত আসা জেলে আব্দুল হাফেজ বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে আমরা ১৬ জন মাঝিমাল্লা মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার থেকে সাগরে যাই। ৪ অক্টোবর কক্সবাজারের পাটোয়ারটেক বরাবর সাগরে ডাকাতদল আমাদের ট্রলারটি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে ওরা আমাদের আটক করে।’

তিনি বলেন, ‘আটক করার পর ডাকাতরা আমাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। আমাকে অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং মাঝির হাতে গুলি করে। ট্রলারে থাকা জাল ও মাছ লুট করে নিয়ে যায়।

‘ডাকাতরা ট্রলারে মাছ-বরফের কল স্টোরের ভেতরে আমাদের আটকে দিয়ে বাইরে থেকে পেরেক ঠুকে দরোজা আটকে মিয়ানমারের সীমানায় একটি চরে রেখে চলে যায়। পরে আমাদের নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। বিজিবির সহায়তায় অবশেষে ১৫ দিন পর দেশে ফেরত আসতে পেরেছি।’

ডাকাতের কবলে পড়া ট্রলারটির মালিক মো. আয়ুব বলেন, ‘আমার ট্রলার নিয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর ওরা সাগরে মাছ শিকারে যায়। তাদের সঙ্গে কয়েকদিন যোগাযোগ হয়েছিল। এরপর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে বিভিন্ন ট্রলার থেকে তাদের খোঁজখবর নিয়েছি।

‘অবশেষে গতকাল (সোমবার) বিজিবির পক্ষ থেকে ফোন করে জানানো হয় যে তারা মিয়ানমার থেকে আমার ট্রলারের মাঝিমাল্লাদের ফেরত এনেছে। আর আজ জানলাম তারা ডাকাত দলের কবলে পড়েছিল। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া তারা প্রাণে বেঁচে ফেরত এসেছে। কিন্তু আমার ট্রলার এখনও ফেরত পাইনি।’

এর আগে মাছ ধরতে গিয়ে নাফ নদে অপহৃত বাংলাদেশি পাঁচ জেলেকে ৯ অক্টোবর বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।

এ বিভাগের আরো খবর