কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় বঙ্গোপসাগরে বহির্নোঙরে এলপিজিবাহী ‘সোফিয়া’ নামের লাইটারেজ জাহাজে লাগা আগুন এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২ জন ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
এতে এ পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
গতকাল রাতে ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ এবং ক্রুদের উদ্ধারকাজ চালায় নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের কয়েকটি জাহাজ। উদ্ধারকাজে অংশ নেয় মেটাল শার্ক ও চারটি অগ্নিনির্বাপণী ও উদ্ধারকারী দল।
বঙ্গোপসাগরে কুতুবদিয়া উপকূলের পশ্চিমে বহির্নোঙর এলাকায় শনিবার রাত পৌনে একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি।
আগুনের সূত্রপাত কীভাবে ঘটেছে তা নিশ্চিত করতে না পারলেও হতাহতের ঘটনা নেই বলে জানান তিনি।
কোস্ট গার্ডের এ গণমাধ্যম কর্মকর্তা জানান, জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে যাচ্ছিল, তবে কোন দেশ থেকে এলপিজি বহন করে আনছিল, তা নিশ্চিত নন তিনি।
মুনিফ তকি বলেন, “এলপিজি বহনকারী ‘সুফিয়া’ নামের লাইটারেজ জাহাজটি কুতুবদিয়া উপকূলের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে নোঙর করেছিল। শনিবার মধ্যরাতে জাহাজটিতে আকস্মিক আগুন লেগে যায়। এতে আগুন ভয়াবহ রূপ নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে।
“কুতুবদিয়ার উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের কয়েকটি জাহাজ। দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজটির আগুন নিয়ন্ত্রণ ও ক্রুদের কাজ করছে কোস্ট গার্ডের দুটি জাহাজ এবং নৌবাহিনীর পাঁচটি অত্যাধুনিক জাহাজ।”
আগুনের ভয়াবহতা কমিয়ে আনা সম্ভব হলেও রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। জাহাজটির ভেতরে এখনো আগুন জ্বলছে।
কোস্ট গার্ডের এ গণমাধ্যম কর্মকর্তা বলেন, জাহাজটি থেকে এ পর্যন্ত ৩২ জন ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদে রাখা হয়েছে।
জাহাজটি কোন দেশ থেকে আসছিল এবং কী পরিমাণ এলপিজি ছিল, তা জানা যায়নি। এ ছাড়া জাহাজটিতে কতজন ক্রু ছিল, তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।