সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকায় কোনো ধরনের ‘থ্রেট’ (হুমকি) নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নেয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘শারদীয় দুর্গাপূজায় মণ্ডপ এলাকা, বিসর্জন শোভাযাত্রা ও বিসর্জনের সময় সব ধরনের মাদক ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। একইসঙ্গে সব ধরনের পটকা ও আতশবাজির ব্যবহার না করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
‘বিসর্জনের সময় উচ্চৈস্বরে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা যাবে না। যারা সাঁতার জানেন না তাদের বিসর্জনের সময় পানিতে না নামার অনুরোধ করছি।’
মাইনুল হাসান বলেন, ঢাকা মহানগরীতে এবার ২৫৩টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৩১টি এবং উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৩১টি মণ্ডপ রয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে শান্তি-শৃঙ্খল ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পূজা অনুষ্ঠানে আগে সমন্বয় সভা করেছি।’
পর্যায় নিরাপত্তার উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, ‘প্রতিটি পূজামণ্ডপে ফিক্সড পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি থানা পুলিশের অধিক টহল ও চেকপোস্ট স্থাপন, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সিসি ক্যামেরা, আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেকিং ব্যবস্থা থাকবে।
‘সাদা পেশাকে ডিবি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি প্রতিটি পূজামণ্ডপে আনসার বাহিনীর পর্যাপ্তসংখ্যক সদস্য মোতায়েন থাকবে। একইসঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ র্যাবের সদস্যরা টহল ও অন্যান্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘পূজা চলাকালীন যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্তসংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যানজট এড়াতে পূজা কমিটিকে অনুরোধ করেছি মণ্ডপের আশপাশে কোনো মেলা যাতে না হয়।’
বিসর্জনে ঢাকা মহানগরীতে ১৫টি স্পট নির্ধারণ করা হয়েছে। বিসর্জন শোভাযাত্রায় ডিএমপির বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বিসর্জনের জন্য সব পূজা কমিটি ও ভক্তদের প্রতি অনুরোধ জানান ডিএমপি কমিশনার।
পুলিশ সদস্যদের মনোবল ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আগস্টের ৫-৬ তারিখে পুলিশের কার্যক্রম দেখেন। আর আজ ৮ অক্টোবরের পুলিশের কার্যক্রম দেখলে আপনারাই বুঝতে পারবেন পুলিশ কতটুকু মনোবল ফিরে পেয়েছে। যারা কর্মবিরতি দিয়েছিল তারাও পুরোদমে কাজে ফিরে আসছে। পূজার অনুষ্ঠানে দৃঢ় মনোবল নিয়ে দায়িত্ব পালন করবে পুলিশের প্রতিটি সদস্য। এতে কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না।’