বাংলাদেশে আসন্ন দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশের (ভারত) গণমাধ্যমে উস্কানিমূলক ও বিভ্রান্তিকর নানা খবর প্রচার করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী মঙ্গলবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রমনা কালীমন্দির পরিদর্শন শেষে একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে পূজা পালন নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ অনেক কিছুই বলছে। তাদের মিডিয়া বিভিন্ন উস্কানি ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার করছে।
‘আমি দেশের সাংবাদিকদের অনুরোধ করব, আপনারা পূজা নিয়ে সত্যি ঘটনা মিডিয়ার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলবেন। আমরা সত্যি ঘটনা সবাইকে জানাতে চাই। পূজামণ্ডপে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই।’
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দুর্গাপূজা এবার ভালোভাবে, নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মাঠ প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ইতোমধ্যে আট দফা নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
‘তাছাড়া দুর্গাপূজায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, র্যাব ও আনসারের পর্যাপ্ত সদস্যের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অধিকন্তু কোথাও কোনো ঘটনা ঘটলে যাতে এর তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মাধ্যমে সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এবার সব পূজামণ্ডপে পূজা উদযাপন কমিটির মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা ২৪ ঘণ্টাই দায়িত্বরত থাকবে।’
বিগত ১৫ বছরে রামু ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও সহিংস ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন হতে হবে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।
পরিদর্শনকালে রমনা কালীমন্দির ও আনন্দময়ী আশ্রম পূজা পরিচালনা পরিষদের আহ্বায়ক অপর্ণা রায় দাস ও সদস্য সচিব বিশ্বজিৎ ভদ্রসহ মন্দিরের পূজা পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।