বর্তমান সরকার বিদেশি অর্থায়নের প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, সরকারি প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে কত গাড়ি কেনা হয়েছে, সেগুলো কোথায় কীভাবে ব্যবহার হচ্ছে- সব খতিয়ে দেখবে সরকার।
সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে একনেক বৈঠক শেষে বিকেল ৩টায় শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সবাই ভিসি হতে চান। পাঁচশ’ শিক্ষক ভিসি হতে চান। কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে চান না।
উন্নয়ন প্রকল্প সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, চলতি প্রকল্পগুলো সংশোধন করা হচ্ছে। সেজন্য সময় লাগছে। বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ কম হওয়ায় প্রকল্প ধীরগতিতে এগুলোর অর্থপ্রবাহ বাড়বে না।
অর্থপ্রবাহ বাড়াতে আগের প্রকল্পের কাজ এগুতে হবে। নতুন কিছু প্রকল্প হাতে নিতে হবে। তবে চলমান প্রকল্পগুলোর মেয়াদ বৃদ্ধির আগে এর ব্যয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ড. ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, প্রকল্পের আওতায় বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ কিংবা গাড়ি কেনার চেয়ে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি, পার্ক ও লাইব্রেরি নির্মাণ, জলাধার তৈরির উদ্যোগ নেয়া হবে।
এতদিন সরকারি প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে কতগুলো গাড়ি কেনা হয়েছে, সেগুলো কোথায় আছে, কীভাবে ব্যবহার হচ্ছে, সব খতিয়ে দেখবে সরকার। প্রকল্প শেষ হলে গাড়িগুলো কেন আর খুঁজে পাওয়া যায় না- সবকিছু যাচাই করা হবে।
তিনি বলেন, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের কাজ টাঙ্গাইল পর্যন্ত হয়ে স্থবির হয়ে আছে। সেখানে যথেষ্ট বিদেশি অর্থায়ন আছে। সুদের হারও কম। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। বর্তমান সরকার বিদেশি অর্থায়নের প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
এছাড়া ঢাকার বাইরে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে রাজধানীকে বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, আমরা দেখেছি এক কর্মকর্তা তিনটি গাড়ি ব্যবহার করেন। তাদের নিজের গাড়ি টেকে বেশিদিন। কিন্তু সরকারি গাড়ি দ্রুত নষ্ট ও অপচয় হয়।
সারা দেশে কতগুলো গাড়ি আছে তার একটা হিসাব করব। খুব শিগগিরই আমরা তথ্য জোগাড় করব। কত গাড়ি কীভাবে ব্যবহার হয়, কারা ব্যবহার করে সব হিসাব হবে। কোনো সরকারি গাড়ি নষ্ট হলে কীভাবে ব্যবহার করা যায় তা খতিয়ে দেখা হবে।