আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দেশ ছেড়ে পালানো ঠেকাতে ব্যর্থতায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) আংশিক দায় রয়েছে। তবে পরিস্থিতির জন্য সংস্থাটিকে এককভাবে দায়ী করা উচিত নয়।
বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন। সূত্র: ইউএনবি
ঢাকায় বিজিবি সদর দপ্তরে এই সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক বলেন, ‘বিজিবি এখন পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত ২২ জনকে আটক করেছে। এসব গ্রেপ্তারের পরও আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নেতাকর্মী সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।’
‘পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার জন্য বিজিবি দায়বদ্ধ হলেও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত কিনা তা নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ।’
মেজর জেনারেল সিদ্দিকী জোর দিয়ে বলেন, ‘কারা কোন সীমান্ত অতিক্রম করেছে তা খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত হওয়া দরকার। এ বিষয়ে কোনো আপস করা যাবে না।’
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে যাওয়া ঠেকাতে গত ৬ আগস্ট বিজিবিকে সহায়তা করার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। এটি একটি উদ্যোগ যা স্বাধীনভাবে এবং বাইরের কোনো নির্দেশনা ছাড়াই নেয়া হয়েছিল।
‘আমরা এটা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহকারী সব প্রতিষ্ঠান যদি তাদের তথ্য শেয়ার করে, তাহলে আমাদের এই প্রচেষ্টা অনেক বেশি কার্যকর হবে।’
আওয়ামী লীগের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ইতোমধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে যে গুঞ্জন চলছে সে কথাও উল্লেখ করেন বিজিবি মহাপরিচালক। তিনি বলেন, ‘সবাই কি পালিয়ে গেছে? আমার এরকম মনে হয় না। কেউ কেউ এখনও দেশের এই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আত্মগোপন করে আছেন।’
মেজর জেনারেল সিদ্দিকী সাংবাদিকদের কাছে থাকা যেকোনো প্রাসঙ্গিক তথ্য শেয়ার করে বিজিবিকে সহায়তা করার আহ্বান জানান। বলেন, ‘আপনাদের কাছেও তথ্য আছে। দয়া করে বিজিবিকে জানান, আমরা ব্যবস্থা নেব। এসব পালিয়ে যাওয়া ঠেকাতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
বিজিবি মহাপরিচালক পুনর্ব্যক্ত করেন, বিজিবি সীমান্ত রক্ষায় তাদের ভূমিকা পালনে নিবেদিত এবং চলমান সমস্যা কার্যকরভাবে সমাধানের জন্য সব স্টেকহোল্ডারকে অবশ্যই সহযোগিতা করতে হবে।