জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
এ বিষয়ে তদন্তের জন্য তিনজন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
দায়িত্ব পাওয়া তিনজন উপদেষ্টা হলেন- আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাংগীর আলম চৌধুরী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে এই তিন উপদেষ্টার কথা বলা হয়েছে, এর মানে এই নয় যে অন্যরা এতে যুক্ত হতে পারবেন না। মূল কথা একটি কমিটি করে বিষয়টি তদন্ত করা হবে।’
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে গৃহীত কার্যক্রম নিয়ে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ এ তথ্য জানান।
অন্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে জনপ্রশাসন সচিব তদন্ত করেন। এ অবস্থায় জনপ্রশাসন সচিবের বিরুদ্ধে ওঠা ডিসি নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ সরকার তদন্ত করবে কি না- তা জানতে চাওয়া হয় শারমীন এস মুরশিদের কাছে।
জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘অবশ্যই আমরা এটার তদন্ত করব, সরকার (তদন্ত) করবে। কিন্তু এখানে দুটি জিনিস মিডিয়াকে মাথায় নিতে হবে। যে ক্লিপটা সোশ্যাল মিডিয়ায় বহুল প্রচারিত হয়ে গেল, সেটা কতখানি এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রডিউসড, সেটা কতখানি রিয়েল, কতখানি ফেক; আমাদের মতো সাধারণ মানুষ তা বলতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘ইমেডিয়েটলি যে সিদ্ধান্তটা হয়েছে- এটার টেকনিক্যাল ইন্টিগ্রিটিটা কী সেটা জানার জন্য কেবিনেটে (উপদেষ্টা পরিষদে) কথা হয়েছে। সেটা ইনভেস্টিগেট করে ইমেডিয়েটলি দেখতে হবে। আমরা অবশ্যই তদন্ত করব।’
এর আগে আজ বুধবার সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অভিযুক্ত সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘ইটস এ ফেক নিউজ।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ নিয়ে এক ভয়াবহ কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। এর সঙ্গে উঠে আসে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এবং দুই যুগ্ম সচিব ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও আলী আযমের নাম।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) একটি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনের একপর্যায়ে নিজেকে নির্লোভ দাবি করেন সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান। টাকা-পয়সার প্রতি কোনো লোভ নেই জানিয়ে ডিসি নিয়োগে পাঁচ কোটি টাকা দাবি করেন তিনি।’