বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাহমুদুর রহমানের জামিন, ‘বাধা নেই কারামুক্তিতে’

  • বাসস   
  • ৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১৪:১৩

মাহমুদুরের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ বলেন, ‘মাহমুদুর রহমানকে মিথ্যা মামলায় দেয়া সাজার বিরুদ্ধে আজ আমরা আপিল করেছি। আদালত আপিল আবেদন গ্রহণ করেন। এরপর আমরা মাহমুদুর রহমানের জামিন চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। এ ক্ষেত্রে তার কারামুক্ত হওয়ার আর কোনো আইনগত বাধা থাকল না।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে বৃহস্পতিবার জামিন দিয়েছে আদালত।

মাহমুদুর রহমানের মুক্তি চেয়ে প্রতিবাদ ও নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত জামিনের এ আদেশ দেন।

মাহমুদুরের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ বলেন, ‘মাহমুদুর রহমানকে মিথ্যা মামলায় দেয়া সাজার বিরুদ্ধে আজ আমরা আপিল করেছি। আদালত আপিল আবেদন গ্রহণ করেন।

‘এরপর আমরা মাহমুদুর রহমানের জামিন চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। এ ক্ষেত্রে তার কারামুক্ত হওয়ার আর কোনো আইনগত বাধা থাকল না।’

অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে মাহমুদুর রহমানের জামিন আবেদন করেন আইনজীবী।

ওই দিন শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। একই সঙ্গে তাকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ারও আদেশ দেয় আদালত।

আইনজীবী মেজবাহ বলেন, ‘মাহমুদুর রহমানকে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগে সাজা দেয়া হয়। প্রশ্নবিদ্ধ বিচারিক প্রক্রিয়ায় ত্বরিত গতিতে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে বিচারের নামে প্রহসন করা হয়েছিল।

‘রায় ঘোষণা করা বিচারকের ভূমিকাও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি।’

প্রেক্ষাপট

সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার মামলায় গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনকে দুটি ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

আসামিদের দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারায় (অপহরণ) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয় আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও এক মাসের কারাভোগ করতে হবে বলে আদেশে জানানো হয়।

একই আইনের ১২০ (খ) ধারায় (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) আসামিদের দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেয় আদালত।

রায়ে বিচারক উল্লেখ করেন, দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে জাসাসের সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও দলটির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা ঢাকার পল্টনের জাসাস কার্যালয়, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহর, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় একত্রিত হন। তারা পরস্পর যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে এবং তার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।

ওই ঘটনায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলা করেন।

ওই মামলায় ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

মামলায় জয়সহ ১২ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

এ বিভাগের আরো খবর