শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক পদ থেকে অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতিকে অব্যাহতি দিয়েছে সরকার।
চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব নিলুফার ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জ্যোতির পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া আরও চার পরিচালককে অব্যাহতি দেয়া হয়।
অব্যাহতি পেয়ে নিজেকে অনেকটা ‘ভারমুক্ত’ বলে দাবি করেছেন জ্যোতিকা জ্যোতি। পাশাপাশি খানিকটা আক্ষেপও শোনা গেল তার কণ্ঠে।
ফেসবুকে অব্যাহতির প্রজ্ঞাপনের একটি ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী লিখেন, ‘প্রজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো আমার প্রথম সরকারি চাকরি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমার চাকরির মেয়াদ থাকার পরও আমাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
‘আজ (১ অক্টোবর) থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক পদের দায়িত্বে আমি আর নেই।’ এতদিন তার সঙ্গে কাজের সুবাদে যুক্ত থাকা লেখক, গবেষক, প্রকাশকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কোনো প্রয়োজনে সরাসরি শিল্পকলার গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগে যোগাযোগ করবেন।’
সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে জ্যোতি লিখেন, ‘দেড় বছরের এই যাত্রায় নতুন নতুন অভিজ্ঞতায় আমাকে ঋদ্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ।’
জ্যোতিকা জ্যোতি ২০২৩ সালের ১৩ মার্চ থেকে দুই বছরের চুক্তিতে একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা পরিচালক পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর কর্মস্থলে উপস্থিত হননি তিনি।
সম্প্রতি শিল্পকলায় নতুন মহাপরিচালক হিসেবে সৈয়দ জামিল আহমেদের নিয়োগ পাওয়ার খবর শুনে ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিজ কর্মস্থলে যান জ্যোতি। সেখানে গিয়ে সহকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন এ অভিনেত্রী। ওই ঘটনার দুই সপ্তাহ পর শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো জ্যোতিকে।