বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আশুলিয়ায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ৩০

  • প্রতিনিধি, সাভার (ঢাকা)   
  • ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৬:৩১

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জিরাবো এলাকার মণ্ডল গ্রুপের পোশাক কারখানার সামনে শ্রমিক ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কমপক্ষে পাঁচটি গাড়িতে ভাংচুর চালায় শ্রমিকরা।

রাজধানীর অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় বিক্ষোভের জের ধরে শ্রমিক ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ এক শ্রমিকের হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও চার শ্রমিক গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন । এ সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কমপক্ষে পাঁচটি গাড়িতে ভাংচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।

সোমবার দুপুর ২টার দিকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী গুলিবিদ্ধ এক শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জিরাবো এলাকার মণ্ডল গ্রুপের পোশাক কারখানার সামনে শ্রমিক ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রায় এক ঘণ্টা আগে তিন শ্রমিককে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে ২৭ বছর বয়সী কাউসার হোসাইন খান নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার ম্যাঙ্গোটেক্স লিমিটেড কারখানার শ্রমিক। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে।’

গুলিবিদ্ধ অন্যরা হলেন- আশুলিয়ার পিমকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ন্যাচারাল ডেনিমসের শ্রমিক হাবীব ও ন্যাচারাল ইন্ডিগো কারখানার শ্রমিক নাজমুল হাসান। তবে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ বইক দু’জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

শ্রমিকরা জানায়, সকালে মণ্ডল গ্রুপের শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষ, শ্রমিক প্রতিনিধি ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মিটিং চলছিল। এ সময় সমঝোতা না হওয়ায় শ্রমিকরা কারখানার বাইরে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে অন্যান্য কারখানার শ্রমিকরা সেখানে জড়ো হতে থাকে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও শ্রমিকরা মুখোমুখি অবস্থান নিলে শ্রমিকরা র‍্যাব ও পুলিশের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা লাঠিচার্জ শুরু করেন। পরে শ্রমিকরা আরও উত্তেজিত হয়ে উঠলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে গুলি চালায়। এ সময় দুজন গুলিবিদ্ধ হলে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় পিএমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে অন্তত ৩০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন।

ন্যাচারাল ডেনিমসের শ্রমিক মো. সুমন বলেন, ‘সকালে আমাদের কারখানায় সবাই কাজ করছিলো। আমাদের কারখানায় কোনো ধরনের আন্দোলন হয়নি। তবে মণ্ডল গ্রুপের শ্রমিকরা কারখানার সামনে আন্দোলন শুরু করলে আমাদের শ্রমিকরা সংহতি জানিয়ে সেখানে যায়। সেখানে আরও কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা যোগ দেয়।

এ সময় শ্রমিকদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। একপর্যায়ে গুলি ছুড়লে দু’জনের পায়ে গুলি লাগে। পরে আমি তাদের দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এছাড়া প্রায় ৩০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। তারা বিভিন্ন হাসপাতাল চিকিৎসা নিচ্ছেন।

পিএমকে হাসপাতালের অ্যাডমিন ম্যানেজার নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘এখানে চার শ্রমিককে আহত অবস্থায় আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জনের পায়ে গুলি লেগেছে। চিকিৎসা চলছে।’

ন্যাচরাল ডেনিম কারখানার এইচআর অ্যাডমিন সবুজ হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের কারখানায় কোনো সমস্যা ছিলো না। সকাল থেকেই শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করছিল। হঠাৎ শ্রমিকদের কাছে গুজব আসে, পাশের মন্ডল গার্মেন্টসের শ্রমিক মারা গেছে। এটা শুনেই সব শ্রমিক একসঙ্গে কারখানা থেকে বেরিয়ে মণ্ডল গার্মেন্টসের সামনে চলে যায়। পরে ওখানে ঈ ঘটেছে আমার জানা নেই।’

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর