বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শ্রমিক অসন্তোষ, আশুলিয়ায় শনিবারও বন্ধ ২২ কারখানা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৭:১৩

শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বলেন, ‘সকাল থেকে শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানা খোলা রয়েছে। তবে লুসাকা গ্রুপের শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করলে আশপাশের ৮ থেকে ১০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়। শ্রম আইনের ১৩/১ ধারায় ১০টি কারখানাসহ আশুলিয়ায় মোট ২২টি কারখানা বন্ধ রয়েছে৷’

রাজধানীর অদূরে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে আবারও শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বন্ধ কারখানা খুলে দেয়া, শ্রমিকদের নামে হওয়া মামলা প্রত্যাহার ও ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার টাকা করার দাবিতে এই অসন্তোষ চলছে। কোথাও কোথাও শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।

শ্রমিক অসন্তোষের মুখে শনিবার আশুলিয়ায় কমপক্ষে ২২ পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে। এদিন

সকালে আশুলিয়ার বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কে জিরাবো এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা।

এদিকে বিক্ষোভের এক পর্যায়ে শ্রমিকরা আশপাশের বিভিন্ন কারখানার সামনে গিয়ে শ্রমিকদের ডাকাডাকি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। তারা অন্যান্য কারখানার শ্রমিকদের ডেকে বের করে নিয়ে এলে ওই অঞ্চলের অন্তত আট থেকে ১০টি কারখানা কর্তৃপক্ষ ছুটি ঘোষণা করেন।

লুসাকা গ্রুপের শ্রমিকরা বলেন, মালিক পক্ষ গত ৯ সেপ্টেম্বর কারখানার ২৭ জন শ্রমিকের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা করে। পরে এই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শ্রমিকরা আন্দোলন করলে বৃহস্পতিবার কারখানা খুলে দেয়া হয়।

‘মালিক পক্ষ সে সময় জানায় যে তারা মামলা প্রত্যাহার করে তার কপি আমাদের হাতে হাতে দিয়ে দেবে। কিন্তু পরবর্তীতে আর তা দেয়নি। আজ শনিবার সকালে কারখানায় এসে দেখি মালিক পক্ষ শ্রম আইনের ১৩(১) ধারায় কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে।’

কারখানা বন্ধ দেখে শ্রমিকরা আশপাশের কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের ডাকাডাকি করে বের করে নিয়ে এসে সড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা শ্রমিকদের নামে মামলা প্রত্যাহার এবং বন্ধ কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বলেন, ‘সকাল থেকে শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানা খোলা রয়েছে এবং শ্রমিকরাও শান্তিপূর্ণভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন। পরে লুসাকা গ্রুপের শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করলে আশপাশের ৮ থেকে ১০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে।’

‘এছাড়াও মণ্ডল গ্রুপের শ্রমিকরা ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার টাকা করার দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। শ্রম আইনের ১৩/১ ধারায় ১০টি কারখানাসহ মোট ২২টি কারখানা বন্ধ রয়েছে৷ এছাড়া কিছু কিছু কারখানায় আধা বেলা কাজ করে ছুটি দেয়া হয়েছে। এখন সড়ক স্বাভাবিক রয়েছে। শ্রমিকরা বাসায় ফিরে গেছে।’

এ বিভাগের আরো খবর