বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শেখ হাসিনার ৭৮তম জন্মদিন শনিবার উদযাপনের আহ্বান আওয়ামী লীগের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৪:০১

আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে বৃহস্পতিবার বলা হয়, দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে দেশের সব মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জায় তার দীর্ঘায়ু এবং সুস্বাস্থ্য কামনা এবং দেশবাসীর জীবনে চলমান দুর্যোগ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে দোয়া, মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৮তম জন্মদিন আজ শনিবার।

দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী-সমর্থক এবং দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বৃহস্পতিবার এ আহ্বান জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে দেশের সব মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জায় তার দীর্ঘায়ু এবং সুস্বাস্থ্য কামনা এবং দেশবাসীর জীবনে চলমান দুর্যোগ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে দোয়া, মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

পোস্টে আরও বলা হয়, ‘মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, উগ্রবাদী দেশি-বিদেশি চক্রের রক্তপাত-সন্ত্রাস-লুটতরাজের মাধ্যমে দেশ ধ্বংসের তৎপরতার প্রেক্ষিতে তিনি বর্তমানে প্রবাসে রয়েছেন, কিন্তু জাতির পিতা এবং বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামের লাখো শহীদের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য তার আজীবনের সংগ্রাম কখনও বৃথা যাবে না। শেখ হাসিনা এবং তার লক্ষ লক্ষ ভক্ত, অনুসারীর সংগ্রাম অব্যাহত আছে।

‘আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা ১৯৭১ এবং ১৯৭৫সহ অতীতে বারবার হয়েছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় সেই দুরভিসন্ধি সফল হয়নি। সব বিভ্রান্তি-মিথ্যাচার-ভীতি-সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ অতিক্রম করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে উদ্ভাসিত হবে নতুন প্রজন্ম, শেখ হাসিনার মহান নেতৃত্বেই বাংলাদেশের সবুজ জমিনে উদিত হবে রক্তলাল সূর্য, লাখো কন্ঠে ধ্বনিত হবে, আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।’

প্রতি বছর ধুমধাম করে শেখ হাসিনার জন্মদিন পালন করত আওয়ামী লীগ। যদিও এই দিনে প্রায় প্রতি বছরই তিনি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেয়ার জন্য আমেরিকায় অবস্থান করতেন, কিন্তু এবার পরিবর্তিত প্রেক্ষাপট।

গত ৫ আগস্ট ক্ষতাচ্যুত হয়ে ভারতে যান শেখ হাসিনা। এখনও সেখানেই অবস্থান করছেন।

১৯৪৭ সালের গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম হয় শেখ হাসিনার। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রথম সন্তান। ১৯৭৫ সালের পটপরিবর্তনের পর ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দলীয় প্রধানের দায়িত্ব নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। দলকে সংগঠিত করে চার দফায় সরকারে থাকার পর পতন হয় তার। স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সাফল্য শুরু হয়। ১৯৯৬ সালে তার নেতৃত্বেই তৎকালীন বিএনপি সরকারের পতন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিজয় অর্জন করে আওয়ামী লীগ। সে বছরই বিজয়ী হয়ে প্রথমবার তার নেতৃত্বে সরকারে আসে আওয়ামী লীগ। মাঝে কয়েক বছরের বিরতির পর ২০০৯ থেকে ২০২৪ এর ৫ আগস্ট পর্যন্ত টানা প্রায় ১৬ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন শেখ হাসিনা।

তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়। ১৯৫৬ সালে ভর্তি হন টিকাটুলীর নারীশিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে। ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর রোডের বাড়িতে বসবাস শুরু করেন ১৯৬১ সালের ১ অক্টোবর।

শেখ হাসিনা ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৬৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন ঢাকার বকশী বাজারের পূর্বতন ইন্টারমিডিয়েট গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়) থেকে।

কলেজে অধ্যয়নকালে শেখ হাসিনা কলেজ ছাত্র সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচিত হন। একই বছর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এ দম্পতি এক ছেলে ও এক মেয়ে (সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল) সন্তানের বাবা-মা।

১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। ওই সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। শুরু হয় তাদের প্রবাস জীবন।

১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ইডেন হোটেলে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই তাকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। সামরিক শাসকদের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান তিনি। এক-এগারোর সময়ও কারাগারে জীবননাশের ষড়যন্ত্র চলে। সামরিক স্বৈরশাসনামলেও বেশ কয়েকবার তাকে কারা নির্যাতন ভোগ ও গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে। অন্তত ২০ বার তাকে হত্যার অপচেষ্টা করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৯১ সালে পঞ্চম এবং ২০০১ সালের অষ্টম সংসদে তিন দফা বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রতি বছর আনুষ্ঠানিকভাবে তার জন্মদিন পালনের কর্মসূচি থাকলেও এবার সামাজিক মাধ্যমে শুধু তার জন্মদিন পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।

এ বিভাগের আরো খবর