কক্সবাজারের চকরিয়ায় সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার নির্জনকে গলায় ছুরিকাঘাতের হোতা নাছির উদ্দিন ও সহযোগী এনামুল হককে দুইটি দেশীয় তৈরি বন্দুকসহ যৌথ বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম চৌধুরী শনিবার সকাল ১০টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার দুজনের মধ্যে নাছির উদ্দিন চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ডুমখালী রিজার্ভপাড়ার বাসিন্দা। এনামুল হক একই ইউনিয়নের মাইজপাড়ার বাসিন্দা।
র্যাবের ভাষ্য, হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় এ পর্যন্ত প্রধান আসামি মো. বাবুল ওরফে বাবুল ডাকাতসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আবুল কালাম জানান, সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার হত্যার ঘটনায় করা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ, র্যাব ও সেনা সদস্যরা যৌথ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। শনিবার ভোররাতে চকরিয়া উপজেলার কাহারিয়াঘোনা এলাকায় সেনা কর্মকর্তা হত্যার ঘটনায় জড়িত কয়েকজন আসামি অবস্থান করার খবরে যৌথ বাহিনীর একটি দল অভিযান চালায়।
ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুজন সন্দেহজনক মানুষ দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালান। ওই সময় ধাওয়া দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় যৌথ বাহিনী। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে দেশীয় তৈরি দুইটি বন্দুক ও তিনটি গুলি উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার দুজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার তথ্য স্বীকার করেন। তাদের মধ্যে নাছির উদ্দিন সেনা কর্মকর্তা তানজিমকে গলায় ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। ওই সময় তাকে সহযোগিতা করেন এনামুল হক।
আসামিদের চকরিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম চৌধুরী।
গত সোমবার রাত তিনটার দিকে ডুলাহাজরা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া এলাকায় অভিযানের সময় ডাকাতের ছুরিকাঘাতে নিহত হন লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার নির্জন।
টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণকারী তানজিম পাবনা ক্যাডেট কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমি থেকে ৮২তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে কমিশন লাভ করেন।