অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
জাতিসংঘ সদরদপ্তরের জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে সাধারণ আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপট এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশে সংঘটিত যুগান্তকারী পরিবর্তনের কথা তুলে ধরবেন।
কী পরিস্থিতিতে তিনি সরকার পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন এবং পরিবর্তিত সময়ে রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্গঠনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গৃহীত সংস্কার কার্যক্রম, রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অন্যান্য বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিষয় তার ভাষণে স্থান পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস আজ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যে ভাষণ দিতে যাচ্ছেন, সেটি একটি যুগান্তকারী ভাষণ হবে এবং বিশ্ববাসীর মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে বলে আশা করছি।’
তিনি জানান, নোবেলজয়ী ড. ইউনূস বাংলায় ভাষণ দেবেন।
এ বছরের ইউএনজিএর মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘কাউকে পিছিয়ে রাখা নয়: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি, টেকসই উন্নয়ন এবং মানব মর্যাদার অগ্রগতিতে একসঙ্গে কাজ করা’।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশন ও অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে পৌঁছান।
তিনি জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসসহ বিশ্ব নেতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
নিউ ইয়র্ক সময় শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় প্রধান উপদেষ্টার ঢাকার উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার কথা আছে।