শেখ পরিবার ভদ্রতা ও শিষ্টাচারের কালচার শেখেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বৃহস্পতিবার ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত শহীদ সৈকত চন্দ্র দে ও শহীদ পারভেজের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ পরিবারের মধ্যে আছে শুধু ধৃষ্টতা, ঔদ্ধত্য আর অহঙ্কার। তারা ভদ্রতা ও শিষ্টাচারের কালচার শেখেনি। এসব কারণে তাদের পতন হয়েছে অত্যন্ত ভয়াবহভাবে।
‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতেই আমরা বলেছি যে তার পতন অত্যন্ত ভয়াবহ হবে। উনি (শেখ হাসিনা) কানে লাগাননি, গ্রাহ্য করেননি। করবেন কেন? এটা তিনি ভাবতেই পারেননি যে, জনগণ ধেয়ে এসে তার সাধের গণভবনের দিকে যাবে। এটা তিনি কল্পনা করতে পারেননি বলেই আজকে তার ময়ূর সিংহাসন ধূলায় লুটিয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশটা একেবারেই পারিবারিক সম্পত্তি বানিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তার ঘনিষ্ঠ লোকজনরা লুটপাট করেছে এবং তার বিরুদ্ধে কথা বলা যেত না। জ্বালানি নেই কিন্তু বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে।
‘কারণ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ লোকজনের এবং তার আত্মীয়-স্বজনের। জনগণের পকেট কেটে শেখ হাসিনা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। এ কারণে আন্দোলনের কথা শুনলেই তিনি আন্দোলনকারীদের ওপর বর্বর আক্রমণ চালিয়েছেন।’
রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভেতরে তারা ভিনদেশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকদের ঢুকিয়েছিল। আমরা এই কথাগুলো শুনেছিলাম শেখ হাসিনার আমলেই। কিন্তু অতটা আমলেও নেইনি। কিন্তু এখন বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়ে গেছে, এখন অনেকেই বলছেন।
‘বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেছেন, ভিনদেশি নাগরিকদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে ঢুকানো হয়েছে। কারণ তারা হিন্দিতে কথা বলছেন।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন দমন করার জন্য শেখ হাসিনা হিন্দুদেরকে ভাড়া করে নিয়ে এলেন। এটা কি বড় ধরনের অপরাধ নয়?’
ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, ‘আপনি মাসুম বাচ্চাদেরকে গুলি করেছেন। রাজনৈতিক নেতাদের গুম করেছেন, ক্রসফায়ার দিয়েছেন। নিজের গদি রক্ষার্থে ভিনদেশি মানুষদেরকে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে ঢুকিয়ে আপনি তাদেরকে দিয়ে কোমলমতি বাচ্চাদেরকে হত্যা করেছেন। আপনার মতো এত বড় ঘাতক পৃথিবীতে আর কেউ ছিল বলে মনে হয় না।’
‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।