মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ধলেশ্বরী নদীতে মেয়েকে সাঁতার শেখাতে গিয়ে পানিতে ডুবে বাবা-মেয়ে নিখোঁজের প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের ধলেশ্বরী নদীর বায়রা খেয়াঘাট এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
প্রাণ হারানো দুজন হলো সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের চর-জামালপুর এলাকার ব্যবসায়ী মহিদুর রহমান (৫০) ও তার মেয়ে রাফা আক্তার (১১)।
রাফা স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
এর আগে বুধবার সকালে সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ধলেশ্বরী নদীর বারাহিরচর খেয়াঘাটে স্কুলপড়ুয়া রাফা আক্তার সাঁতার শিখতে গিয়ে ডুবে যায়। ওই সময় মেয়েকে উদ্ধার করতে গিয়ে বাবা মহিদুর রহমানও নিখোঁজ হন।
স্থানীয় বায়রা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শাহ জাহান জানান, বাবা-মেয়ে নিখোঁজের পর ফায়ার সার্ভিস, ডুবুরির পাশাপাশি স্থাণীয়রা উদ্ধারকাজে যোগ দেন, কিন্তু বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে মাছ ধরার বড়শি দিয়ে উদ্ধার অভিযানে নামে স্থানীয়রা। পরে বারাহিরচর খেয়াঘাটে অদূরে বায়রা খেয়াঘাট এলাকা বড়শিতে মহিদুর রহমান ও মেয়ে রাফার মরদেহ আটকে পড়ে।
পরে স্থানীয়দের সার্বিক সহযোগিতায় ফায়ার সর্ভিস ও ডুবুরি দলের সদস্যরা দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেন।
শিবালয় উপজেলার আরিচা স্থলকাম নদী ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দলের লিডার দেওয়ান মো. জাহিদুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বারাহিরচর খেয়াঘাটের অদূরে বায়রা খেয়াঘাট এলাকা থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস. এম আমান উল্লাহ জানান, মরদেহ উদ্ধারের খবর শোনার পর ঘটনাস্থল এবং প্রাণ হারানো দুজনের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।