বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর জানাজা জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
জানাজায় অংশ নেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জুসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা।
এ ছাড়া সাংবাদিকদের সংগঠন প্রেসক্লাব, ডিআরইউ, ডিইউজে, বিএফইউজে’র নেতা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রধান ব্যক্তিসহ সর্বস্তরের গণমাধ্যম কর্মীরা জানাজায় শরিক হন।
জানাজার আগে রহুল আমিন গাজীর ছেলে আদনান আবরার বলেন, ‘তিনি সবসময় সত্য কথা বলার চেষ্টা করতেন। তিনি দেশের জন্য এবং দেশের মানুষের জন্য কাজ করবেন- সবসময় এ কথা বলতেন। আর কোনোদিন আমার বাবা আমাকে ডাকবেন না। আপনারা আমার বাবাকে ক্ষমা করবেন।’
উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘প্রয়াত রুহুল আমিন গাজী গণতন্ত্র এবং মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য আজীবন লড়াই করেছেন। তার মৃত্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি এবং তার পরিবার ও সতীর্থদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে গণমাধ্যমের উন্নয়নে রুহুল আমিন গাজীর পরামর্শ প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তার আগেই তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আমরা তার পরামর্শ থেকে বঞ্চিত হলাম।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গণতন্ত্র এবং মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য রুহুল আমিন গাজী যে লড়াই করে গেছেন আমরা সে পথ অনুসরণ করব। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলব। গণমাধ্যমকেও ফ্যাসিবাদমুক্ত রাখব।’
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. জাহিদ বলেন, ‘ভালো লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। মহান রাব্বুল আলামিন রুহুল আমিন গাজী ভাইকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুক। আমিন।’
কবি আব্দুল হাই শিকদার বলেন, ‘রুহুল আমিন গাজী অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
জানাজা শেষে রুহুল আমিন গাজীর মরদেহ চাঁদপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয় বলে জানা গেছে।