যশোরের বেনাপোলে পর পর দু’দিনে ছয় কেজি ৮৫০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের বার জব্দ ও দুজনকে আটকের ঘটনা ঘটেছে। ভারতে পাচারের সময় এসব স্বর্ণ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। জব্দকৃত স্বর্ণের বাজার মূল্য সাত কোটি টাকা।
সবশেষ বুধবার সকাল ৯টার দিকে ভারতে পাচারের সময় বেনাপোল কাঁচাবাজার এলাকা থেকে দুই কেজি ৩৫০ গ্রাম ওজনের পাঁচ পিস স্বর্ণের বার জব্দ করেন বিজিবি সদস্যরা। এ সময় কদম আলী নামে এক পাচারকারীকে আটক করা হয়।
আটক কদম আলী যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে।
বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেনাপোল সদর ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা বেনাপোল কাঁচাবাজারে গোপনে অবস্থান নেন। এ সময় ওই পাচারকারী বেনাপোল সেখানে এলে বিজিবি তাকে আটক করে। পরে তার দেহ তল্লাশি করে পাঁচ পিস স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়, যার ওজন ২ কেজি ৩৫০ গ্রাম।
জব্দকৃত স্বর্ণের বাজারমূল্য প্রায় দুই কোটি ৩৮ লাখ টাকা বলে জানায় বিজিবি।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী ও টুআইসি মেজর ফারজিন ফাহিম জানান, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। স্বর্ণের চালানটি যশোরের ট্রেজারি শাখায় জমা করা হয়েছে।
অপর ঘটনায় আগের দিন মঙ্গলবার ভারতে পাচারকালে বেনাপোল থেকে সাড়ে চার কেজি ওজনের ১৯টি স্বর্ণের বারসহ এক পাচারকারীকে আটক করে বিজিবি। জব্দ স্বর্ণের বাজার মূল্য চার কোটি ৬১ লাখ ৬২ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে বেনাপোল পোর্ট থানার আমড়াখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাহফুজ মোল্লা নামের ওই পাচারকারীকে আটক করেন বিজিবি সদস্যরা। আটক ব্যক্তি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মঙ্গলপুর গ্রামের হাসমত উল্লার ছেলে।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, বেনাপোল সদর ক্যাম্পের টহল দলের বিজিবি সদস্যরা আমড়াখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন মাহফুজ নামে একজনকে আটক করেন। পরে তার দেহ তল্লাশি করে সাড়ে চার কেজি ওজনের চার কোটি ৬১ লাখ ৬২ হাজার টাকা মূল্যের ১৯ পিস স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। এছাড়া তিনটি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়।
আটক ব্যক্তিকে স্বর্ণের বার ও মোবাইল ফোনসহ বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।