জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৭০৮ জনের খসড়া তথ্য প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
নিহতদের নাম, তাদের বাবার নাম, মোবাইল নম্বর, ঠিকানা, জন্মতারিখ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। এসব তথ্যে ভুল থাকলে সংশোধন, তথ্য সংযোজন বা বিয়োজন করা যাবে। কারও তথ্য বাদ থাকলে তা-ও যুক্ত করা যাবে।
মঙ্গলবার বিকেলে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, বিভিন্ন সূত্রে নিহতের সংখ্যা এক হাজার চারশ’র বেশি বলে দাবি করা হচ্ছে। সেগুলো ভেরিফায়েড বা যাচাই করা সংখ্যা নয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও জেলা পর্যায় থেকে সংগৃহীত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহতদের নামের খসড়া তালিকা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ওয়েবসাইটে (www.hsd.gov.bd) এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইটে (www.dghs.gov.bd) প্রকাশ করা হয়েছে।
তথ্য সংশোধন/সংযোজন করার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকাটি ২৩ সেপ্টেম্বর উন্মুক্ত করা হয়েছে। তা ৬ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
তালিকায় প্রকাশিত নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য যাচাই/সংশোধন/পূর্ণাঙ্গ করতে নিহতদের পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধিদের অনুরোধ করা হলো।
প্রকাশিত তালিকার বিষয়ে কারও কোনও মতামত, পরামর্শ এবং নতুন কোনও তথ্য-উপাত্ত সংযোজন করার মতো থেকে থাকলে তা সেবা নেয়া সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল অথবা কাছের সরকারি হাসপাতালে জানানোরও অনুরোধ জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
প্রকাশিত তালিকার তথ্য সংশোধনের জন্য যা করতে হবে-
(ক) নিহত পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধিদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)/জন্মনিবন্ধন ও মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
(খ) রেজিস্ট্রেশনের পর নিহত ব্যক্তির তথ্য ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে হবে।
(গ) প্রিন্ট করা কাগজের যে ঘরগুলোতে তথ্য নেই, সেগুলো পূরণ করতে হবে।
(ঘ) পূরণকৃত তথ্য নিয়ে সেবা গ্রহণকৃত সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল অথবা কাছের সরকারি হাসপাতালে গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তথ্য সংশোধনে সহায়তা করবে।
(ঙ) প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি নিহত পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধির পূরণ করা ফরমটি জমা নিয়ে অনলাইনে তথ্যগুলো হালনাগাদ করবেন।
(চ) দাখিলকৃত তথ্য যথাযথভাবে সন্নিবেশিত বা সংশোধিত হলো কিনা তা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে পুনরায় যাচাই করা যাবে।
সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের মধ্যে যদি কারও নাম এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হয়ে থাকে তাহলে তাদের পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধিদের উপযুক্ত প্রমাণসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক/সিভিল সার্জন/উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা/উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।