চট্টগ্রাম নগরীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়া নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে চান্দগাঁও থানায় নিহত তরুয়ার বন্ধু আজিজুল হক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ২০৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন– সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান, সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও আ জ ম নাছির উদ্দীন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি নূরে আলম মিনা, সিএমপির সাবেক কমিশনার সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, কোতোয়ালি থানার সাবেক ওসি মোহাম্মদ মহসিন ও পাঁচলাইশ থানার সাবেক ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া।
জানা যায়, গত ১৮ জুলাই নগরের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হন ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়া। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ জুলাই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।