বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্প্রীতি বিনষ্টে বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৯:১২

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা বলেন, ‘বাইরে থেকে একটি ষড়যন্ত্র হচ্ছে আমাদের এই সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য। এর পেছনে কারা জড়িত সেটি বের করতে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি করা হচ্ছে। এরপর জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

রাঙামাটিসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।

শনিবার দুপুরে রাঙামাটি সেনানিবাসের প্রান্তিক হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও জাতি-গোষ্ঠীর নেতা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা এই বৈঠকে অংশ নেন বর্তমান সরকারের তিন উপদেষ্টা।

উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈঠকে সবাই বলেছেন আমরা সম্প্রীতি চাই, কিন্তু জানি না কোথায় ছন্দপতন হচ্ছে। ছন্দপতনের বিষয়ে সবাই একটি বাক্য উচ্চারণ করেছেন, সেটি হলো ষড়যন্ত্র।

‘বাইরে থেকে একটি ষড়যন্ত্র হচ্ছে আমাদের এই সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য। এর পেছনে কারা জড়িত সেটি বের করতে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি করা হচ্ছে। এরপর জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করব। কোনো অবস্থায়ই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে দেয়া হবে না। এজন্য সবার সহযোগিতা চাচ্ছি। যারা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাবে তাদেরকে আমরা কোনো ছাড় দেবো না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে কেউ যদি আবার আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করে, হাত ভেঙে দেয়া হবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে সবাই সহযোগিতা করবেন। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে সহযোগিতা করবেন।’

সাংবাদিকদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জনগণকে বুঝাবেন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে অটুট থাকে, ভালো থাকে। আস্তে আস্তে যাতে আরও উন্নতি হয়, এ কাজটা আপনারা করবেন।’

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সাবেক রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা।

পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে শুক্রবার সংঘর্ষের পর ওইদিন রাত থেকেই সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের সম্মিলিত টহল বাড়ানো হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় রাঙামাটির পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ হয়নি। অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট ডাকায় মূল সড়কে গাড়ি নেই। তবে অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করছে।

এ বিভাগের আরো খবর