বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর ধানমন্ডি থানার কিশোর আবদুল মোতালিবকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক বিচারক এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুর রহমানের আদালতে বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আদালত জামিন নাকচ করে মানিককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
এর আগে বুধবার ছয়টি হত্যা মামলায় মানিককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকী আল ফারাবী। এর মধ্যে আদাবর থানার পোশাককর্মী রুবেল হত্যা, লালবাগ থানার আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা ও বাড্ডা থানার আলাদা চারটি হত্যা মামলা রয়েছে।
গত ২৩ আগস্ট সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে স্থানীয় জনতার সহায়তায় আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরের দিন সকালে তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১-এর বিচারক আলমগীর হোসাইন মানিককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর সিলেটের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অঞ্জন কান্তি দাস মানিকের জামিন মঞ্জুর করেন, তবে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকায় কারামুক্ত হতে পারেননি তিনি। পরে সিলেট থেকে হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডি থানাধীন এলাকার ছাত্র জনতার আন্দোলনে যোগ দেন আব্দুল মোতালিব (১৪)। পরে তিনি বুকে ও গলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
এ ঘটনায় গত ২৬ আগস্ট নিহতের বাবা আবদুল মতিন বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৭৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া ২৫০/৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এ মামলার ২২ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।