অবৈধ ও প্রতারণামূলক নির্বাচন আয়োজনের অভিযোগ এনে সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), এসব কমিশনের কমিশনারবৃন্দ ১৮ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আবেদন করা হয়েছে। আর এসব নির্বাচনে ইন্ধনদাতা হিসেবে শেখ হাসিনা এবং ওবায়দুল কাদেরকেও এতে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম কাজী শরিফুল আলমের আদালতে আবেদনটি করেন চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম।
দায়িত্ব পালনকালে অভিযুক্তরা সংবিধান লঙ্ঘন, শপথ ভঙ্গ এবং নির্বাচনের নামে প্রহসন করে দেশের জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কাজ করেছেন বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাদীর আইনজীবী কফিল উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাদী অভিযোগে বলেন, গত তিন জাতীয় নির্বাচনে বিরোধী দলসহ অনেক জনপ্রিয় নেতার অংশগ্রহণ ছিল না। সাধারণ মানুষ নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। যারা কমিশনে ছিলেন তাদের ব্যর্থতার কারণে প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও নির্বাচনি মাঠে একপেশে আচরণ করেছে।
বিপুল টাকা ব্যয়ে যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে তাতে সংবিধানের খেলাপ করেছেন নির্বাচন কমিশনারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এসব কারণে রাষ্ট্রদ্রোহ ও প্রতারণা মামলার আবেদন করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- ২০১৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ, নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ, মো. জাবেদ আলী, মো. আবদুল মোবারক ও মো. শাহনেওয়াজ; ২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলাল উদ্দিন আহমদ; ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিসুর রহমান ও নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
এই তিন নির্বাচনের নির্দেশদাতা, ইন্ধনদাতা ও ভুয়া সংসদের নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরকে আসামি করার কথা আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাদীর আইনজীবী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আদালত আমাদের আবেদনটি আমলে নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তাকে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন।’