লেবাননে মঙ্গলবার শত শত পেজার বিস্ফোরণে অন্তত নয়জন নিহত ও দুই হাজার ৮০০ জন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ, তবে ইসরায়েল এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
পেজার এক ধরনের ছোট যন্ত্র। হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা সাধারণত যোগাযোগের জন্য সেটি ব্যবহার করেন।
লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফিরাস আবিয়াদ জানান, বিস্ফোরণে নয়জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে আট বছর বয়সী এক মেয়েশিশু রয়েছে। আহত হয়েছে ২ হাজার ৮০০ জন, যাদের মধ্যে ২০০ জনের অবস্থা গুরুতর।
তিনি আরও জানান, আহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগের মুখমণ্ডল, হাত ও পাকস্থলিতে আঘাত আছে।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে হিজবুল্লাহর আইনপ্রণেতা আলী আম্মারের ছেলে রয়েছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে সংগঠনটির ঘনিষ্ঠ সূত্র।
ইরানের বার্তা সংস্থা মেহের জানায়, পেজার বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে লেবাননে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মোজতবা আমানিও আছেন।
হিজবুল্লাহ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া
এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ এসব বিস্ফোরণের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে বলেছে, ইসরায়েলকে উপযুক্ত শাস্তি পেতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রশ্নের জবাবে জানান, পেজার বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নেই। এ ঘটনার জন্য কারা দায়ী, তাও তারা জানেন না।
হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ কয়েক মাস আগে তার যোদ্ধাদের স্মার্টফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করেছিলেন।
কারণ হিসেবে তিনি বলেছিলেন, ইসরায়েলের হাতে এসব স্মার্টফোনে অনুপ্রবেশের প্রযুক্তি আছে। এরপর হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা যোগাযোগের জন্য পেজার প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এসব ডিভাইসও বাইরে থেকে কোনো পক্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে বলেই মনে হচ্ছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। একই দিন গাজায় গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
গাজায় সামরিক অভিযানের থাকা ইসরায়েল লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধেও হামলা শুরু করে।